Ram ও Rom কাকে বলে এবং রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

আমরা সবাই কমবেশি হলেও কম্পিউটার সম্পর্কে জেনে থাকি, এবং কম্পিউটার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যেটা ছাড়া কম্পিউটার প্রায় অসম্পূর্ণই। তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অর্থাৎ –

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে জানব Ram ও Rom কাকে বলে এবং রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি ? তবে তার আগে আমাদের একটা বিষয় স্পষ্ট ধারণা করে নিতে হবে যে –

কম্পিউটার পার্ট বা অংশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো মেমোরি, । এই মেমোরি দুটি ব্যবহার করা যায় ইন্টারনাল মেমোরি, আর অপরটি হল এক্সটার্নাল মেমরি।

আবার ইন্টারনেট মেমোরি কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি

  1. প্রাইমারি রেম (Primary RAM)
  2. সেকেন্ডারি রেম (Secondary RAM)

Primary RAM এর মধ্যে দৈনন্দিক জীবনে আমরা যা দেখে থাকি তা হল – RAM ও ROM আর অপরদিকে Secondary RAM এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সিস্টেম তার মধ্যে কিছু হল Hard Drive, Floppy Disk, CD ইত্যাদি গুলি।

সুতরাং ইন্টারনাল মেমোরির মধ্যে আমাদের র‍্যাম ও রম দুটো জিনিস পরে।, তাহলে চলুন এবারে আমাদের আলোচ্য বিষয় ফিরে যাই – Ram ও Rom কাকে বলে এবং রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

রেম কাকে বলে? (What is RAM in bengoli?)

রেম এর ফুল ফর্ম হলো রেনডম এক্সেস মেমোরি (Random Access Memory ), রেম আমাদের প্রতিটি কম্পিউটারের সংযুক্ত থাকে।

এবং আমাদের সিপিইউ এর মাদারবোর্ডের ভেতরে একটি স্লটের মধ্যে র‍্যাম লাগানো থাকে। এবং এটা ভোলা টাইপ মেমরি ( Volatile memory ) অর্থাৎ যতক্ষণ না আপনি র‍্যাম কে কোনো কিছু ইন্ট্রোডাকশন দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সে সেই কাজ সম্পন্ন করবে না।

উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ওয়ার্ড ফাইলে কোনো কিছু টেক্সট টাইপিং করছেন, এবং ওই ফাইলটি আপনি সেভ না করেই সিস্টেমটি বা কম্পিউটারটি বন্ধ করে দিলেন।

তৎক্ষণা আপনার ওই ফাইলটি আর আপনার কম্পিউটার স্টোরেজে জমা থাকবে না। অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারের মাল্টিপেল অ্যাপ্লিকেশন, যেমন ওয়ার্ড, এক্সেল, ফটোশপ সমস্ত কিছু কিন্তু প্রসেসিং করে ram এর উপরে।

হয়তো আপনি এটা জেনে থাকবেন আমরা সাধারণত ভাবে কোনো স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার কিনতে গেলে আগেই জিজ্ঞাসা করে নেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের র‍্যাম কত জিবি রয়েছে ।

RAM এর প্রকার (Types of RAM)

রেম দুই প্রকার এর হয়ে থাকে SRAM ও DRAM,

  1. SRAM: এর পুরো কথা বা অর্থ হল Static Random Access Memory অনেকে স্ট্যাটিক রেম বলে থাকে। অর্থাৎ সর্বদা স্থির থাকে। এবং এই টাইপের অটোমেটিক কাজ করে।
  2. DRAM: এর পুরো নাম হল Dynamic Random Access Memory যাকে Dynamic RAM বলা হয়। এবং এটি সর্বদা স্থির থাকে না। এটি ব্যবহার করার জন্য বারবার রিফেস করতে হয়।

RAM এর বৈশিষ্ট্য গুলি হল (Features or Characteristics of RAM)

  • রেম হলো এক ধরনের Volatile memory।
  • এটি কম্পিউটার এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার অংশু বা পাঠ।
  • Ram হল কম্পিউটারের একটি Primary memory।
  • কম্পিউটার ইন্ট্রোডাকশন ছাড়া এটি কাজ করতে পারবে না।
  • RAM দুই প্রকার এর হয় SRAM ও DRAM
  • এটি ক্যাশে বা Cache মেমোরি হিসাবে অপরিচিতি।
  • এর মধ্যে থাকা তথ্য Read, Write ও ডিলিটও করা যায়।

ROM কাকে বলে? (What is ROM in bengoli )

রমের ফুল ফর্ম হল রিট অনলি মেমোরি (Read Only Memory) এবং এটি কম্পিউটারে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মধ্যে সর্বদা কমিউনিকেশন করার জন্য একটি উত্তম মাধ্যম।

তবে এর বিশেষ গুন হল নন ভরা টাইপ মেমোরি (non-volatile) অর্থাৎ এ কোনদিনও কিছু ভুলে যায় না, যখনও কোন সিস্টেম বা কম্পিউটার বিল্ড বা তৈরি হয়,

তখনই এর মধ্যে কিছু ফাংশন বা প্রোগ্রাম কল বা ইনক্লুড করানো হয়ে থাকে, যা সে চিরকাল পালন করে থাকে।

যেমন ধরুন আপনি যদি সিস্টেম বা কোন স্মার্টফোন ওপেন করেন, সর্বদা আপনার কম্পিউটারের সামনে অপারেটিং সিস্টেমের লোগো চলে আসবে।

সুতরাং আপনার কম্পিউটারটি যদি সম্পূর্ণ চালু না হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, যখন আপনি পুনরায় আবার চালু করবেন প্রথম থেকেই শুরু হবে- অর্থাৎ এর কোনদিন কিছু ভুলে যায় না।

ROM এর কিছু উদাহরণ হল পার্সোনাল কম্পিউটার (সিস্টেম), স্মার্টফোন, গেমিং কনসোল, স্মার্টটিভি ও AC ইত্যাদি।

ROM এর প্রকার (Types of ROM in bengoli )

বর্তমানে টেকনোলজি আপডেট অনুযায়ী এখন ROM কেবল চার ধরনের হয়ে থাকে, হয়তো পরবর্তীকালে আরো পরিবর্তন ও অনেক প্রকার রোম মার্কেট চলে আসবে।

  1. PROM: এর সম্পূর্ণ নাম হলো Programmable read-only memory যা যার মধ্যে আপনি কেউ মাত্র একবারই প্রোগ্রাম ইনক্লুড করতে পারবেন করতে পারবেন।
  1. EPROM: এর সম্পূর্ণ নাম হলো Erasable Programmable read-only memory অর্থাৎ এখানে থাকা বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা যেটাগুলি বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা মুছে ফেলা সম্ভব।
  2. EEPROM:  এর সম্পূর্ণ নাম হলো Electrically erasable programmable read-only memory যেখানে থাকা বা প্রোগ্রামড করা তথ্য সম্পূর্ণভাবে মুছে দেওয়া না গেলেও Electrically মুছে দেওয়া সম্ভব।
  3. MROM: এর সম্পূর্ণ নাম হলো Mask ROM, এখানে থাকা এখানে একবার প্রোগ্রাম ইনপুট করলে দ্বিতীয়বার সেটিকে রি প্রোগ্রাম করা সম্ভব নয়, যদিও বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা এটিকে রি প্রোগ্রামিং করা সম্ভব।

ROM এর বৈশিষ্ট্য

  • রম বা Rom হল Non-Volatile মেমোরি
  • এটি একটি প্রাইমারি রেম বা মেমোরি ও কম্পিউটারের ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার
  • আমরা চাইলেও এর মধ্যে থাকা তথ্য রি-রাইট, রি-প্রোগ্রাম ও মুছে দেওয়া যায় না।
  • এবং সর্বদা এখানে থাকা তথ্য স্থায়ি
  • এবং বর্তমান সময় অনুযায়ী ROM চার প্রকার এর হয়ে থাকে PROM, MROM, EPROM, এবং EEPROM
  • সিস্টেম বা কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেওপরেও এখানে থাকা সমস্ত ডাটা মুছে যায় না।

তো বন্ধুরা আমরা এতক্ষণ উপরে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে Ram ও Rom কাকে বলে? এবং এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানলাম এবং এরপর আমরা নিচে আলোচনা করবো – রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে।

RAMROM
RAM এর সম্পূর্ণ নাম হলো রেন্ডম এক্সসেস মেমোরি বা Random Access Memory.ROM এর সম্পূর্ণ নাম হলো হল Read Only Memory বা রিড অনলি মেমোরি।
রেম হল একটি Volatile Memory.রম হল Non-Volatile Memory.
এর মধ্যে ডাটা সবসময় ডেটা গুলো অস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ থাকেএর মধ্যে ডাটা সবসময় ডেটা গুলো স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ থাকে
রেম এর মধ্যে থাকা সমস্ত তথ্য গুলো পড়া, লেখা ও মুছে দেওয়া যায়রম এর মধ্যে থাকা সমস্ত তথ্য গুলো পড়া, লেখা ও মুছে দেওয়া সম্ভব নয়
RAM এর তুলনায় ROM ধীরRAM এর তুলনায় ROM ধীর
RAM সাধারণত ভাবে দুই ধরনের হয়ে থাকেROM সাধারণত ভাবে চার ধরণের হয়ে থাকে
রোম বা ROM এর বৈশিষ্ট্য

অবশেষে

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর Ram ও Rom কাকে বলে এবং রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি ? সঠিকভাবে পেয়ে গেছেন?

তবুও যদি কোনরকম কিছু প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন, আপনার একটা কমেন্ট আমাকে অনেক উৎসাহিত করবে আরো রিসার্চ করে ভালো ভালো আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য।

এবং নিত্যনতুন আরও এই ধরনের আর্টিকেল করতে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের এই সবাই শিখি.in ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন

Leave a Comment