উৎস
মহান নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ‘ম্যাকোবেথ’ নাটকের পঞ্চম অংকের পঞ্চম দৃশ্য থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি উদ্ধৃত হয়েছে। রজনীকান্তের নিজের জীবনের সার্থকতা সম্পর্কে বঈতস্পঋহ হয়ে উদ্ধৃতাংশটি কে উল্লেখ করেছেন।
উদ্ধৃতিটির প্রাসঙ্গিকতা
সাইটনের কাছ থেকে ম্যাকবেথ লেডি ম্যাকোবেথের মৃত্যুর খবর পান। নিজের সিংহাসনে আরোহন করতে এবং সেই সিংহাসনকে নিস্কন্টন রাখতে একের পর এক হত্যা কর্মে তথা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন ম্যাকবেথ। শেষ পর্যন্ত লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যু তাকে এই জীবন সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে যে জীবন আসলে এক অনিত্য মায়া মাত্র। এ যেন মঞ্চের উপর অভিনয় করতে আসা একজন দুর্বল অভিনেতার কার্যকলাপ, যা মঞ্চের আলোকহীন দূরবর্তী কোনো এক কোণে কিছুক্ষণ অঙ্গভঙ্গি করে কোনমতে মঞ্চ ছেড়ে পালানো-যাকে কেউ কোনদিন মনেও রাখবে না। ম্যাকবেথ তার নিজের যাবতীয় দোষ কর্মের কথা স্মরণ করে নিজেকে এক অসফল চরিত্ররূপে চিহ্নিত করেছেন প্রশ্ন উদ্ধৃত অংশে।
উদ্ধৃতিটির প্রয়োগ সার্থকতা
একদা মঞ্চে দোর্দন্ডপ্রতাপ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে সহসা একদিন মৃত্যুর পদধরণে শুনতে পেয়েছে। সেই সঙ্গে তার বর্তমানের অভিনেত্রী চরিত্র গুলির কথা স্মরণ করে তিনি মনে মনে অনুভব করেছেন যে, অভিনেতা হিসেবে বর্তমানে তিনি নিদারুণভাবে ব্যর্থ। হয়তো কখনো ও তার অভিনয় দর্শকের কাছে কখনো কখনো অভিনন্দন লাভ করে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিচার করলে বর্তমানে রজনীকান্ত বস্তুতু যৌবনে রজনীকান্তর ছায়া মাত্র। রজনীকান্তের তাই মনে হয়েছে যে, জীবন যেন তাকে মজলিশি গল্পের আস্তাকুঁড়ে নির্বাসন দিয়ে গিয়েছেন। তিনি এও অনুভব করেছেন আসলে তার প্রতিভার আর কিছু মাত্র অবশিষ্ট নেই। জীবন সম্পর্কে কার্যত বীতস্পৃহ রজনীকান্ত নিজের প্রতি আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটির অবতারণা করেছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর