“সে কখনো করে না বঞ্চনা।” -কে, কখনও বঞ্চনা করে না? কবি কিভাবে সেই ভাবনায় উপনীত হয়েছেন?

যে বঞ্চনা করে না

সত্যকে বহন করা মানব হৃদয়ের পক্ষে বরাবরই কঠিন। কিন্তু এই কঠিন সত্যকে কবি গ্রহণ করেছেন বারবার কারণ সত্য কখনো মিথ্যে আশ্বাসের জালবুনে কবিকে দিশেহারা করেনি, বঞ্চনা করেনি কবিকে।

কবির ভাবনা

জীবনে নিষ্ঠুর যতনা, রঊঢ় বাস্তবতার বারবার আঘাতে কবির চেতনা যখন অবশ হয়ে পড়েছে, অবসন্ন দেহভার বহন করে কবি যখন অন্তিমযাত্রার পথে ধাবমান-তখনই তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন প্রার্থিত সত্যকে। কঠিন এর আবরণে যে সত্য ছিল সুপ্ত, অবশেষে তা ব্যক্ত হয়েছে কবির মনোজগতে। তাই কঠিনে, কঠরে ভরা জীবনকে কবি উদ্বাহু হয়ে সাগ্রহে বরণ করে নিয়েছে-

“সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,”

কঠিন সত্য কখনো বঞ্চনা করে না, বরং বাস্তবের কঠিন মৃত্তিকায় মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেয়, বেদনাময় বাস্তবের মুখোমুখি করায়।

শাশ্বত জীবনোপলব্ধি

রূপে রসে পূর্ণ মায়াবী এই জগত সংসার অনন্ত জীবন সম্ভার নিয়ে হাজির। দীর্ঘ জীবনের প্রায় শেষ লগ্নে এসে বিষন্ন কবি অবশেষে কঠিন সত্যকে তথা জীবন সত্যকে খুঁজে পেয়েছেন। বাস্তব জীবনের বিস্তৃত প্রাঙ্গনে সত্য বারবার মুখী দিয়েছেন, তার কঠিন ও কঠোর নির্দয় রূপ নিয়ে। রঊঢ় বাস্তবে আঘাতে বরাবরই আহত হয়েছেন কবি। কিন্তু অপরিসীম জীবনই শক্তি আর অসামান্য একাগ্রতা নিয়েও আহত কবি বারবার সেদিকে ভালোবাসায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, গ্রহণ করেছেন সেই কঠিনকেই, পৌঁছাতে চেয়েছেন দুর্গম সেই কঠোর এর দ্বারে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment