“সেই তিনি বুঝলাম পাবলিকের আসল চরিত্রটা কি।”- কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? পাবলিকের আসল চরিত্র সম্পর্কে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও? এর প্রভাবে রজনীকান্ত কি করেছিল?

যে দিনের কথা

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ একাঙ্ক নাটকে বিগত দিনের প্রখ্যাত অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা। রজনীকান্তের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে তার প্রেমিকা তাকে নাট্যাভিনয় ছাড়ার শর্ত দেয়, সেই দিন রাতে মঞ্চে ‘বাজে হাসির বই’-এর পাঠ করতে করতে তিনি পাবলিকের আসল চরিত্র উপলব্ধি করেন। এদিনের কথাই বলা হচ্ছে আলোচ্য অংশে।

পাবলিকের আসল চরিত্র

দর্শক বা ‘পাবলিক’ নাটকের অন্যতম এক অঙ্গ। তাদের মনোরঞ্জন তথা তাদের কাছে বক্তব্য প্রকাশের নাট্যাভিনেতার সার্থকতা। বিনিময় অভিনেতা প্রাণ প্রশংসা, খ্যাতি, সম্মান। কিন্তু সেদিন রজনীকান্ত বুঝতে পারেন পাবলিক অভিনয় দেখে হাততালি দিলেও তা অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেও পেক্ষা গৃহে বাইরে অভিনেতা কে কোন মর্যাদা তারা দেয় না। অভিনেতা তখন কেবলি থিয়েটারওয়ালা, নকলনবিশ, অস্পৃশ্য ভাঁড় বা মোসায়েব। তারা অভিনেতার ঘনিষ্ঠ হবে, আলাপ করবে আত্মহাজির করার জন্য, সমাজে নিজের প্রভাব বাড়াতে। কিন্তু অভিনেতার সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক তারা রাখতে চায় না। এটি থিয়েটারের ‘টিকিট কেনার খদ্দের’ দাদা দর্শকদের প্রকৃত চরিত্র বলে রজনীকান্ত উপলব্ধি করেন।

রজনীকান্তের উপর প্রভাব

এই মহাভঙ্গের ফলেই তিনি ভবিষ্যতে থিয়েটার করার ক্ষেত্রে চরিত্র বা বই বাছাই করা ছেড়ে দেন। কারন এইসব তার কাছে অর্থহীন। শিল্পী জীবনের গ্লানি ও বেদনার করুন সত্য আজ স্পষ্ট। তাই অভিনয়ের দ্বারা মনোরঞ্জন করা এক অভ্যাস হয়ে ওঠে। তিনি বলেছেন-“আবোল তাবোল সব পার্ট করতে লাগলাম-সেসব যা তা পার্ট।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment