শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটক অবলম্বনে ‘বৌদি’ চরিত্রটি আলোচনা করো?

নাটকের বিশিষ্ট চরিত্র

শম্ভু মিত্র তার নাটকটিকে খুব বেশি চরিত্রচিত্রণের প্রয়াস করেননি। একাঙ্কটির বিশিষ্ট চরিত্র গুলির মধ্যে ‘বৌদি’ চিত্রটির অন্যতম। নাট্যকার নাটকের সূচনাংশে জানাচ্ছে-“এই একাঙ্কিকাটিতে চরিত্রটা তাদের বাস্তব জীবনের পরিচিত নিয়েই উপস্থিত হন।” তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ‘বৌদি’ হয়ে ওঠেন তৃপ্তি মিত্র। বহুরূপী নাট্য সংস্থার সকল সদস্যই তাকে ডাকতেন ওই নামে।

নাটকের বৌদির চরিত্র

শম্ভুর আগমনে গৌরী প্রথম সুগৃহিনীর মতো চা পরিবেশন করেন। শম্ভু, অসুবিধার কথা তুলতে তিনি বলেন- “না না কোন অসুবিধা হবে না। আমি এক্ষুনি নিয়ে যাচ্ছি।” নাট্য সংস্থার কর্মী হিসেবে যেখানে অক্লান্ত এক মানুষের সন্ধান এখানে পাওয়া যায়, তেমনি শম্ভু হাসির খোরাক সন্ধানে যোগ্য সহযোগী হিসেবে বৌদিকে অন্য এক মানুষ হিসেবে দেখা যায়। নাটকের হাসির উপকরণ জাগাতে অর্থাৎ পপুলার জিনিসের আয়োজন করতে তিনি নিজে নায়িকা হয়ে অভিনয়ের উদ্যোগ করেন। আবার অভিনয়ের ক্ষেত্রে তা কার্যকরী না হলে, দ্বিতীয় গল্পে তিনি অন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি শম্ভু ও অমর কে বোঝান -“এটা ও অন্য রকমের লভ সিন ; প্রোগ্রেসিভ লভ সিন।”

এই সিনে অভিনয় করতে গিয়ে বৌদি অভিনয়ে এতটা সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন, তার চোখের জলে যেন সত্যি বলে প্রতীয়মান হয়-“বৌদির কান্নার ভঙ্গিতে মুখিয়ে হাত দিয়ে জানালার কাছ থেকে দৌড়ে চলে আসেন ফ্রন্ট স্টেজে-এ। যেন কান্নায় ভেঙে পড়েন।” বৌদির চরিত্রটি তার ভগবান গত সংলাপের অসাধারণ হয় বটে কিন্তু হাসি নাটকের দৃশ্যকল্পে তা তেমন জমে না। শম্ভু বা অমর কারোরই তাতে হাসি পায় না বলে, বৌদি অবশেষে রেগে স্টেজ থেকে চলে যান।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment