মুদালিয়র কমিশন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কী কী সুপারিশ করে?

মুদালিয়র কমিশন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে সুপারিশ

কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পাঠ্যপুস্তক রচনা এবং প্রকাশনার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করেছে। এই উদ্দেশ্যে কমিশনের সুপারিশগুলি হল一

(১) পাঠ্যপুস্তক কমিটি গঠন: পাঠ্যপুস্তকের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযােগ দিতে হবে। 

(২) তহবিল গঠন ও আর্থিক সাহায্যদান : পাঠ্যপুস্তক বিক্রয়লব্ধ অর্থে তহবিল গঠন করতে হবে। তা থেকে মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তিদান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পুস্তক বিতরণ প্রভৃতি আর্থিক সাহায্য দানের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৩) বিকল্প পুস্তক নির্বাচন : কমিশন মনে করে যে, কোনাে শ্রেণির কোনাে বিষয়ের একটিমাত্র পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তে সমমানের একাধিক বিকল্প পুস্তক নির্বাচনের সুযােগ শিক্ষার্থীরা পাবে।

(৪) নিরপেক্ষতা রক্ষা : পাঠ্যপুস্তকগুলো কোনাে বিশেষ সম্প্রদায়, জাতি, ধর্ম বা কোনাে রাজনৈতিক আদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। এ বিষয়ে যথাসম্ভব নিরপেক্ষতা বজায় রাখা বাঞ্ছনীয়।

(৫) পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন : কমিশনের মতে, পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন খুব কম সময়ের ব্যবধানে হলে চলবে না। কয়েক বছর অন্তর পরিবর্তন করা যেতে পারে।

(৬) পাঠ্যপুস্তক এর গুণগত মান : কমিশন পাঠ্যপুস্তকের গুণগত মান বজায় রাখতে সুপারিশ করেছে। পুস্তকের কাগজ, ছবি ও ছাপার গুণগত মানের উপর দৃষ্টি দিতে বলেছে।

এইরকম Question answer পাওয়ার জন্য আমাদের website visit করুন

দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞানের(education) সব প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment