ভাষাতত্ত্বের সঙ্গে সম্পর্ক
ভাষাজিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে ভাষাতত্ত্ব আর ভাষাবিজ্ঞানের মধ্যে আপাদ দৃষ্টিতে পার্থক্য না থাকলেও দৃষ্টিভঙ্গিগত বিপুল পার্থক্য রয়েছে এই দুই শাখার মধ্যে। ভাষাতত্ত্ব philology -তে এক বা একাধিক ভাষায় রচিত পুঁথি বা গ্রন্থে ভাষা বিশ্লেষণ ও টীকা রচনা মুখ্য হয়ে ওঠে। আর সেখান থেকে ওই ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের সাহিত্য সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষিত হয়।
একই সাহিত্যে নানা পান্ডুল লিপি সংগ্রহ করে তাদের পাঠ মিলিয়ে প্রাচীনত্য নির্ণয়, কবি-লেখকদের পরিচয়, সময়কাল, ভাষাগত বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি অনুসন্ধান ভাষা তত্ত্বের প্রধান কাজ বলে বিবেচিত হতো। অতীতে লিখিত সাহিত্যের ও ভাষা নির্দেশনার ঐতিহাসিক অনুসন্ধানে, বিশ্লেষণে, ভাষাগত নিয়ম অনুযায়ী ভাষার তত্ত্বের প্রধান কাজ। ১৮ শতকের মধ্যভাগ থেকে তুলনামূলক ভাষা তত্ত্বের ক্ষেত্রে এই ভাষাতত্ত্বের (philology) নামটি প্রযুক্ত হয়।
মূলত মৌখিক ভাষায় ও বর্তমানে ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত আলোচনায় ব্যাপকার্থে Linguistics বা ভাষাবিজ্ঞান। অপূর্বকে ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার ইতিহাস, তার সামাজিক-সাংস্কৃতিক দিক সবই বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হয়। তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের পাঠ, বিজয় বিশ্লেষণের শেষে সাধারন সূত্রে পৌঁছানো হয় বিজ্ঞান গবেষণার মতোই। এক্ষেত্রে কারণ-ফল-প্রতিক্রিয়ার মত প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক কাঠামোর মধ্যে রেখে চলে সাধারণ সূত্রের অন্বেষণ। সে ক্ষেত্রে ভাষাতত্ত্বের সঙ্গে ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য সুপষ্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর