বিশ্ব সাঁতারে বাঙালির কৃতিত্ব অতি সংক্ষেপে আলোচনা করো?

কৃতিত্ব

প্রাচীন বাংলায় লোক ক্রীড়াগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জল ক্রীড়া। নদী মারতিক বাংলাদেশের বাঙালি জীবনে সাঁতার প্রায় সহজাত বিষয় ছিল। তারই পরিমাণ প্রতিফলিত বিশ্বজুড়ে সাঁতারের বাঙালির কৃতিত্ব গুলি। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে মিহির সেন প্রথম ভারতীয় রূপে ইংলিশ চ্যালেন অতিক্রম করেন। এ বিরল কৃতিত্ব ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তাকে পদ্মশ্রী ও ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের পদ্মভূষণ সম্মান এনে দেয়। প্রথম ভারতীয় বাঙালি সাঁতারু মিহির সেন ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে পুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ওয়াইএমসিএ তে সাঁতার শিখে তিনি ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার পরিকল্পনা নেন ও জয়যুক্ত হন। আর এক বাঙালি ব্রজেন দাস নিজ গুনে কিং অফ চ্যালেন আখ্যা পান।

প্রথম এশীয় তথা ভারতীয় মহিলা রূপে ইংলিশ চ্যালেন পার হন আরতি সাহা। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত মোট বাইশ বার আরতি সাহা রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তার প্রধান ইভেন্ট ছিল ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল এবং ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার বেস্ট স্ট্রোক। এশিয়া তথা ভারতের প্রথম মেয়ে হিসেবে আরতি সাহা 1969 খ্রিস্টাব্দে ইংলিশ চ্যালেন পার হয় স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তাকে পদ্মশ্রী উপাধি প্রদান করা হয়। তারও পরবর্তীতে এর পরপর দুইবার ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে বিশ্ব বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করেছেন বুলা চৌধুরী। এছাড়া অতীত সাম্প্রতিককালে রেশমি শর্মা, রিচা শর্মা-সহ বেশ কিছু ভারতীয় মেয়ে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করায় বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment