আরতি সাহা ১৯৪০ ও ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে একজন ভারতীয় সাঁতারু। তিনি মাত্র চার বছর বয়স থেকেই সাঁতার শেখা শুরু করেছিলেন। খ্যাতনামা সম্তরণবিদ সেন তাকে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম এসিও মহিলা সাতপুরা হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।
কৃতিত্ব
আরতি সাহা মধ্যবিত্ত বাঙালি হিন্দু পরিবারের ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা পাঁচ গোপাল সাহার জ্যেষ্ঠ কান্না ছিলেন তিনি। ছেলেবেলায় মাতৃহারা হওয়ায় আরতি চার বছর বয়সে তার কাকার সঙ্গে চাপাতলা ঘাটে স্নান করতে গিয়ে সাঁতার শেখা শুরু করেন। সাঁতারের প্রতি আগ্রহ দেখে পাঁচু গোপাল তার কন্যাকে শোভা বাজার হাটখোলা সুইমিং ক্লাবে ভর্তি করে দেন। শচির নাগ এবং বিজিতেন্দ্র বসুর প্রশিক্ষণ তাকে অসামান্য সাঁতুরে রূপে গড়ে তোলেন। উনিও ৪৬ খ্রিস্টাব্দে ৫ বছরের বয়সের শৈলেন্দ্র স্মৃতি সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১১০ গজ দূরত্বের ফ্রি স্টাইলে শোনা যেতেন।
১৯৪৬ থেকে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আরতি সাহা বহু সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৫-১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ২২ টি রাজ্যস্তরে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশি প্রতিযোগিতায় রূপা ও ব্রোঞ্জ জেতেন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় ১ মিনিট ৩৭.৬ সেকেন্ড ১০০ মিটার অতিক্রম করে ডলি নজিরের রেকর্ড ভেঙ্গে দেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে হেলসিঙ্কি অলিম্পিককে তিনি সাদুরের ডলি, নজিরের সঙ্গে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে পদ্মশ্রী সম্মান ভূষিত হন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর