কৃতিত্ব
বাঙালি মহিলা ক্রিকেটার দুজন হলেন ; (১) কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার (২) ঝুলন গোস্বামী। ঝুলন গোস্বামী হাজার ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে হলেন একজন অলরাউন্ডার ক্রিকেটার যিনি ভারতের জাতীয় মহিলা ক্রিকেটে দল, বেঙ্গল উমেন, ইস্ট জোন উমেন এবং এশিয়ান উমেন এলেভেন দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। তার জন্ম নদিয়া জেলার চাকদহ। স্থানীয় খেলার মাঠ ফ্রেন্ডস ক্লাস এবং নবারুণ সমিতিতে ঝুলনের ক্রিকেট খেলার হাতে খরি। এরপর চাকদহ থেকে ভরে ট্রেনে কলকাতা এসে বিবেকানন্দ পার্কে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু করেন। এখানেই পান কোচ স্বপন সাধুকে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র
মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ান-ডে ক্রিকেট সর্বোচ্চ উইকেট এর শিকারি এখন ভারতে ডানহাতি ফাস্ট বোলার ঝুলন গোস্বামী। এই রেকর্ড গর্তে তিনি পিছনে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিককে। পওচএস্ট্রউমএ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরাজের ঝুলন এই রেকর্ড গড়েন। আউট করেন রেইসিবে এসতোজাককে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে ৬ই জানুয়ারি ইংল্যান্ডে বিপক্ষে একদিনে ক্রিকেট ঝুলনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। মহিলাদের কে কেটে দ্রুততম বলার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। কেরিয়ারে তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৩১ রান ৬ উইকেট।
ভারতীয় এই পেসারের সংগ্রহে এখনো ১৯৫ একটি উইকেট, এখনো পর্যন্ত খেলেছেন ১৬৪ টি ম্যাচে। ২০০৫ ও ২০১৭ এই দু বছর মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে পৌঁছায় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ফাইনালে দল ওভারের তিনটি মেডেন ওভারসহ ২৩ টি রান দিয়ে ৩ উইকেট পান ঝুলন। ১০ টি টেস্ট ঝুলন এর উইকেটে সংখ্যা ৪০, মোট রান ২৮৩। টি-টোয়েন্টিতে ৬০ টি ম্যাচ খেলে তার সংগ্রহ ৫০ উইকেট, মোট রান ৩৯১।
সম্মান
২০০৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার, ২০১০ খ্রিস্টাব্দে অর্জুন পুরস্কার, ২০১২ খ্রিস্টাব্দে পদ্মশ্রী, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানিক বই. লিট দেন ঝুলন গোস্বামী। সম্প্রতিক পরিচালক সুশান্ত দাস হিন্দি ভাষায় ঝুলন্ত গোস্বামী বায়োপিক তৈরি করতে চলেছেন, নাম হবে ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ ।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর