বাঙালির ফুটবল চর্চা
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমল থেকে বাংলায় ফুটবলের প্রচলন হয়। ময়দানে প্রথম ফুটবল খেলা ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসে হওয়া নথি পাওয়া যায়। ১৮৫০ খ্রিস্টাব থেকে বাঙালিরা ও ফুটবল ক্লাব তৈরির উদ্যোগ নেয় এবং ক্রমে ওয়েলিংটন ক্লাব, শোভা বাজার ক্লাব, কামারটুলি, টাউন, মোহনবাগান, এরিয়ানস, মোহামেডান পোটিং, ইউনিয়ন ইত্যাদি ক্লাবগুলো গড়ে ওঠে। তখন খেলা হতো খালি পায়ে। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ঘটে যাওয়া ফুটবলের ইতিহাস। খালি পায়ে খেলে মোহনবাগান দল ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়ার কে হারিয়ে দিতে নেই আইএফএ শিল্ড।
বাংলার ফুটবল স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ঘটির দল মোহনবাগান এবং বাঙালের দল ইস্টবেঙ্গল ভাগ হয়ে যায়। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে এশিয়ান গেমস সোনার পদকজয়ী ভারতের দল অধিনায়ক শৈলেন মান্নাকে হাজার 953 খ্রিস্টাব্দে বিশ্বসেরা দশ অধিনায়কের মর্যাদা দেয়া হয়। আধুনিক চুনি গোস্বামী দল ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে এশিয়াডে আবার সোনা আনে। ২০০০ খ্রিস্টাব্দের শৈলেন মান্নাকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ‘সহস্রাব্দের সেরা ফুটবলার’ সম্মান দিয়েছে। আরবি শতকের সেরা ফুটবলার সম্মান পেয়েছে প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি বা পিকে। প্রি অলিম্পিক, মারডেকা ইত্যাদি যেখানেই ভারত ফুটবলের সব ফুল তার নেপথে রয়েছে বাঙালির অনবদ্য, অনস্বীকার্য অবদান। বাঙালি তারকারা বর্তমানে বিদেশের কিছু ক্লাবে ও সুযোগ পাচ্ছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর