প্রচলন ও প্রসার
কুস্তি বাংলার প্রাচীন ক্রীড়ার অঙ্গ। আধুনিক সময় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলায় ও ভারতে সৌখিন কুস্তি প্রতিযোগিতা প্রচলিত হয়। বাংলায় খুঁজতে চর্চার প্রসার ও প্রচলনী মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ও মুর্শিদাবাদের নবাব প্রভুত সাহায্য করেন। নৃপেন্দ্রনারায়নের উদ্যোগে ১৮৯২-৯৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতের প্রথম বিশ্ব কুস্তি প্রতিযোগিতা হয় এবং করিম বক্স টম ক্যাননকে হারিয়ে তাতে চ্যাম্পিয়ন হয়। মুর্শিদাবাদের নবাবের দ্বারা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় রহিম পালোয়ানকে পরাজিত করে বালিওয়ালা গামু। বাংলায় কুস্তি প্রবর্তনের অম্বিকাচরণ গুহ, জান বাজারের রাজা, পাইকপাড়া ও ঝাড়গ্রামের রাজা, জামাপুকুর মিত্র বাড়ির উদ্যোগ চিরস্মরণীয়।
যতীন্দ্রনাথ (গোবর) গুহ তার পিতা রামচরণ ও জ্যাঠা ক্ষেত্রচরণেরও কাছে শিখে, রহমানি ও কাল্লু পালোয়ানের শিষ্যত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক সুখ্যাতীয় পরিচিতি পান। বাঙালি দেহ চর্চা ও কুস্তির প্রদর্শনী হিন্দু মেলাতেও হতো। হিন্দু মেলায় বাঙালি ও পাঞ্জাবি ছাত্রদের কুস্তি প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে বুখারেস্টের বিশ্ব যুব সম্মেলনে যান শ্যামসুন্দর চট্টোপাধ্যায়। এখনো নিমতলা ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত গঙ্গা তীরে ভোর বেলা কুস্তির আখড়া দেখতে পাওয়া যায়।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর