বাংলার প্রবাদপ্রতিম কুস্তিগিরি গোবর গুহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও?

জীবনী

কুস্তি একটি প্রাচীন খেলা। বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে মধ্যবিত্ত বাঙালী সমাজে এই খেলাটি ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই জনপ্রিয়তার প্রধান কারিগর প্রবাদপ্রতিম কুস্তিগিরি গোবর গুহ। তার প্রকৃত নাম যতীন্দ্রচরণ গুহ। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে ১৩ মার্চ কলকাতায় তার জন্ম হয়। তাদের পরিবারের কুস্তি ও শরীরচর্চার ঐতিহ্য ছিল। পিতামহ অম্বিকা চরণ গুহ ছিলেন বাংলার আখড়া সংস্কৃতির পথিকৃৎ। হৃষ্টপুষ্ট চেহারার জন্য পিতামহ যতীন্দ্র চরণকে ছোটবেলায় ‘গোবরের ডালা’ বলতেন। তা থেকে পরবর্তীকালে তিনি গোবর গুহ নামে পরিচিত হন। শরীরচর্চা প্রাথমিক পাঠ তিনি তার পিতাময়ের কাছে গ্রহণ করেন। পরে কুস্তিগিরি খোলসা চলবে ও রহমানি পালোয়ান তাকে কুস্তির তালিম দেন।

কুস্তিগিরি হিসাবে গোবর গুহের কৃতিত্ব

(১) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব লাইট হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম এশীয় ব্যক্তিরূপে এই কৃতিত্বের অধিকারী হন।

(২) মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের বুক সোসাইটি আয়োজিত বিশ্ব কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভারতে হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিত করেন।

(৩) ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও ইতালিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

(৪) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হেভি ওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হন।

(৫) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় পার্ক সার্কাস ময়দানে ছোট গ্রামার সঙ্গে জমজমাট লড়াইয়ে দক্ষতার পরিচয় দেন।

(৬) ধোকা, টিব্বি, টিং, পাট, ধোবা, কউল্লআ ইত্যাদি পেঁয়াজ বা কৌশল উদ্ভাবন করেন তিনি ভারতীয় কুস্তি রিতিকে সমৃদ্ধ করেন।

১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে পেশাদার কুস্তি থেকে তিনি অবসর নেন।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment