তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ ফলিত ভাষাবিজ্ঞান। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবে নানাভাবে, নানা ক্ষেত্রের প্রয়োগ করায় ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। ভাষাতাত্ত্বিক ধারণা সিদ্ধান্ত অবলম্বন করে ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের মাতৃভাষা ও বিদেশী ভাষা আয়ত্ত করাই সহজ কৌশল নির্মিত হয়। তাত্ত্বিক ও বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান অবলম্বনে ফলিত ভাষাবিজ্ঞানে বাস্তবতা ও প্রয়োগ নির্ভরতা গড়ে ওঠে। বিদ্যা চর্চার বিভিন্ন শাখার সঙ্গে মনোভাষার সম্পর্ক এর আলোচ্য বিষয়।
সমাজ ভাষা-বিজ্ঞান
ভাষা যেভাবে সমাজে কাজ করে, সমাজ যেভাবে ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করে, ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখা এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, তাকে বলে সমাজ ভাষাবিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান আর ভাষা বিজ্ঞানের যৌথ ক্ষেত্রে নানা সূত্র ও ধারণা প্রয়োগ দেখা যায় যে ভাষার পরিবর্তন, পরিমার্জনের ক্ষেত্রে সমাজ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ ভাষা থেকে আগত উপভাষা, শ্রেণী উপভাষা, সমাজ উপভাষা ইত্যাদি দিক লক্ষ্য রাখলেও মানুষের সামাজিক চরিত্র অবস্থায় নির্ণয় সহজতর হয়। তাই সমাজবিজ্ঞান ও ভাষাবিজ্ঞানের পারস্পরিক নির্ভরতায় গড়ে ওঠে সমাজ ভাষাবিজ্ঞান।
নৃতষাবিজ্ঞান
নৃতত্ত্বের নানা সূত্র ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় আদিম সমাজের ভাষা, তার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, প্রথা ইত্যাদি আলোচিত হয় এবং সেই ভাষার সঙ্গে ওইসব বিষয় সম্পর্কে আবিস্কার হয়, তাকে নৃভাষাবিজ্ঞান বলে।
আদিম জনজাতির কথ্যভাষা বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার পর ভাষাবিজ্ঞানীরা নঋতত্ত্বএর ধারণার মধ্যে দিয়ে সেই আদিম জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত ভাষার রূপকে, তার ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এই গবেষণার ফলে ভাষা নিরন্তর ধারায় যে অনালকিত বিশাল অংশ, তার সম্বন্ধে সম্য পরিচয় পৌঁছানোর সম্ভব হয়েছে কেবল নৃবিজ্ঞান হাত ধরে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর