প্রেষণার সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য আমরা পাই তাহলে।
অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া
প্রেষণা হল একটি অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া। দেহের আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
নির্বাচনমূলক
প্রেষণা মূলত নির্বাচনমূলক। ব্যক্তির একটি সুন্নিকৃষ্ট লক্ষ বস্তুকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় -আচরণ সম্প্রদন করে। যেমন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি খাদ্য বস্তু অম্বেষণ করে।
ধারাবাহিক প্রক্রিয়া
প্রেষণা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ব্যক্তির একটি প্রেষণা সম্পূর্ণ হলে পরবর্তীতে আরো একটি নতুন প্রেষণা সৃষ্টি হয়।
তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল
ব্যক্তির মধ্যে যে প্রেষণার সৃষ্টি হয় তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবগত থাকে।
উদ্দেশ্যমুখী
প্রেষণার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল লক্ষ্যবস্তু অর্জন। ব্যক্তির মধ্যে যে পেছনের সৃষ্টি হয় তা পূরণ করে একমাত্র লক্ষ্য।
ভারসাম্যবস্থা
প্রেষণা ব্যক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অভাব বোধের তাড়নায় ব্যক্তির দৈহিক বা মানসিক যে পরিবর্তন হয় বা ঘটে চাহিদার নিবৃত্তির ভারসাম্য ফিরে আসে।
প্রেষনার হ্রাস বৃদ্ধি
যে অভাব থেকে ব্যক্তির মধ্যে প্রেষণার সৃষ্টি হয়। সেই প্রেষণা পূরণ হওয়ার পর আরেকটি নতুন প্রেষণার উদ্ভব হয়। অর্থাৎ পূর্বের প্রেষণা হ্রাস পায় এবং পরে নতুন প্রেষণা তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
মাত্রাগত পার্থক্য
প্রেষণার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হলো মাত্রা কত পার্থক্য। যে প্রেষণার তীব্রতা বেশি সেই ক্ষেত্রে কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। অপরপক্ষে যে প্রেষণার তীব্রতা কম সেক্ষেত্রে কর্মতৎপরতা অনেক কম হয়।
প্রেষণা প্রতিটি মানুষের জীবনের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। চাহিদার তাড়নায় ব্যক্তির মানসিক যে পরিবর্তন ঘটে, সেই পরিবর্তন প্রেষণার ফলে চাহিদা নিবৃত্তিতে ভারসাম্য ফিরে আসে।