পরিচয়
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ একাঙ্ক নাটকে ‘চাটুজ্জে মশাই’ বলতে প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কে বোঝানো হয়েছে। রো মোটর কালিনাথ সেন তাকে উদ্দেশ্য করে উক্তিটি করেছেন।
রজনীকান্তের অভিমত
রজনী চ্যাটার্জি বিগত যুগের এক জনপ্রিয় অভিনেতা। তার অসামান্য অভিনয় একসময় সমস্ত দর্শককে মুগ্ধ, বিস্মিত, শিহরিত করতো। দর্শকের করতালীর প্রবলী একসময় ভেসে যেতেন রজনীকান্ত। বাইরে থেকে দর্শকরা আজও রজনীকান্তের জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে, একথা বাকিদের মতোই কালীনাথ ও জানেন। সবার ধারণা যে সুদর্শন চেহারার রজনীকান্ত এভাবে আরও অনেকটা সময় অভিনয় চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু এক অন্ধকার রাতে, শূন্য মঞ্চের স্মৃতিচারণায় মত্তর রজনীকান্তের কাছে তার নিঃসঙ্গতার কথা জানতে পেরে সামান্য প্রোমোটার বড় মাপের অভিনেতাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। রজনীকান্তের ব্যক্তি জীবনের অসহীনয় একাকীতে কথাগুলির উত্তরে কালীনাথ বেদনার্ত গলায় বলেছে-“পাবলিক তো আপনাকে ভালবাসে চাটুজ্জে মশাই।”
রাজনীর অভিমত
রজনীর চ্যাটার্জি চরিত্রটি বৃদ্ধ, সুরাসক্ত হলেও প্রবল বাস্তববাদী। তাই তিনি জানেন পাবলিক আত্মসুখসর্বস্ব। সে অভিনয়ের রস নিয়ে আমোদ পায়, অভিনেতে চরিত্রের অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে উদ্দীপনা গ্রহণ করে। কিন্তু অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের আলো ছায়া তাকে স্পর্শ করে না। পাবলিক থিয়েটার দেখে মাঝরাতে আরামে ঘুমোই। রজনীকান্ত বলেছেন স্বমহীমা হারানো বৃদ্ধ এই অভিনেতাকে বর্তমানে তারা কেউ চায় না, মঞ্চেই তার যত কদর। তারা তাকে এমন ভালোবাসে না যে ঘুমের ঘোরে রজনীকে স্বপ্নে দেখবে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর