পরিচয়
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তার পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকার কথা কালিনাথকে বলেছেন। স্বনামধন্য অভিনেতা রজনীকান্তের অভিনয়ে মোহিত হয়ে মেয়েটি নিজে থেকে তার সঙ্গে আলাপ করেছিল। ধনী পরিবারের অল্প বয়সী মেয়ে, ফর্সা সুন্দর, ছিপ ছিপে গরন, সহজ সরল মনের অধিকারী। গ্যাসের বিকালে সূর্যাস্তের মেঘে অস্তমিত সূর্যের তেজ কোন অংশে কম থাকে না।
তেমনি আপাত সহজ সরল মনের মেয়েটি সারল্যের মধ্যে ছিল তেজোদীপ্তি। আশ্চর্য ক্ষমতার অধিকারী মেয়েটির গভীর কালো চোখ কল্পনা করে অভিনেতা অন্ধকারে রাতে ‘অচেনা দিনের আলো’ দেখতে পেতেন। পাহাড়ি খরস্রোত নদীর মত একরাশ চুল যেন ‘অমোঘ শক্তিতে’ দুর্গম পাহাড় ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। রজনী ভেবেছেন এ ঢেউ যদি তার জীবনকে ভাসিয়ে নিয়েও তাতেও ক্ষতি নেই। আজ এত কাল পরে অভিনেতার মনে প্রেমিকার সুখ স্মৃতি সজিব হয়ে রয়েছে। তার মনে হয়েছে ভোরের আলোর থেকে সুন্দর মেয়েটির কথা তিনি মরে গিয়েও ভুলবে না।
মেয়েটির মানসিকতা
রজনীকান্তের প্রেমিকা তার একান্ত অনুরাগিনী হলে তীক্ষ্ণ বাস্তববোধের অধিকারী ছিল। সে জানতো থিয়েটারের অভিনেতার জনপ্রিয়তা-খ্যাতি জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। ধনী পরিবারের মেয়ের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর ক্ষমতা রজনীকান্তের ছিল না। তাছাড়াও থিয়েটার ওয়ালাদের সমাজে কোন মর্যাদা নেই, শিল্প সত্তার কদর করলেও মানুষ তাদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক রাখতে চাই না। শিল্পের সমঝদার বা অনুভূতিশীল মেয়ে হয়েও তার পক্ষে সামাজিক প্রতিকূলতা অতিক্রম করার ক্ষমতা ছিল না, সে তার মধ্যবিত্ত মানসিকতা থেকে বেরোতে পারেনি।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর