পরিচয়
নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাঙ্ক নাটক ‘নানা রঙের দিন’ এ কালিনাথ সেনে নাট্যদলের প্রোমোটার, তার বয়স প্রায় ষাট। দীর্ঘদিন নাট্যদলের সঙ্গে সংযুক্ত, নিরলস কর্মী কালীনাথ একদিন দরিদ্র মানুষ। রাতে শোয়ার জায়গা নেই বলে তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিন রুমে ঘুমান।
বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি
নাট্যাভিনয়ে, মঞ্চাভিনেতা ও মঞ্চকর্মীদের ভূমিকা সমান। অভিনয়কে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর করতে, মঞ্চয়নকে সফল করে তুলতে দর্শকের আড়ালে কাজ করে চলা অক্লান্ত কর্মীদের একজন তিনি। চিরকাল নীরবে উইনিংসের পাশ থেকে প্রম্পট করে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংলাপ বলা হয় সাহায্য করেছেন। কিন্তু কখনোই প্রচার, খ্যাতির আলো পানি। চিরকাল মঞ্চের নেপথ্যে, অন্ধকারে থাকা এই মানুষগুলোর জীবনেও থাকে অন্ধকারেই ঢাকা। সেইসব বঞ্চিত, পীড়িত মানুষের প্রতিনিধি হয়ে কালিনাথ সেনে এ নাটকের তাদের দুঃখ দুর্দশা গ্রস্থ জীবন চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
প্রধান চরিত্রের আত্মবিকাশ সহায়ক
প্রধান চরিত্র রজনীর চাটুজ্জের আত্মবিকার সহায়তা করা পার্শ্ব চরিত্র কালীনাদের কাজ এবং তাদের যিনি সম্পূর্ণ সার্থক। তাদের পারস্পরিক কথোপকথনে শিল্পীর ক্ষোভ, চরিত্র ধর্ম, প্রতিবার জায়গা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে।
আবেগ প্রবণতা
কালীনাথ আবেগপ্রবণ মানুষ। তার রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার স্ফুরণ তার চোখের জল আনে। তিনি রজনীকান্ত কে বলেন, “আপনার প্রতিভা এখনো মরেনি চাটুজ্জেমশাই।” মানবিক চরিত্র হয়ে উঠেছে নাটকে, তিনি দুঃখ গ্রস্থ, বিহল রজনীকান্তের অভিভাবক হয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে চেয়েছেন।
মানব জীবনের প্রম্পটার
পরিশেষে বলা যায় প্রোমোটার কালিনাথ পাঠ্য একাঙ্কে সুরাচ্ছন্ন, দুঃখ হতাশাগ্রস্ত বিগত দিনের অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের একাকিত্বের সঙ্গদান করেছেন। রজনীকান্তের বহু দিনে জমি থাকা দুঃখ-ব্যথা-ক্ষোভের প্রকাশ সূত্র সঞ্চারণ কে কালীনাথ যেন সার্বিকভাবে হয়ে উঠেছে মানব জীবনের প্রোমোটার।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর