দুঃখের কথা
বিশিষ্ট লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ময়মনসিংহের পার্শ্ববর্তী চৈতননগর, হিঙুলকোণার গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি মিশে ছিলেন বৃদ্ধ মানুষের সঙ্গে। সেখানকার কি মোড়ল, আমুতো মোড়লের বংশধর এর মুখে পুরনো দিনের গল্প শুনেছেন তিনি। কারণ পুরনো দিনের মানুষজন কেমন ছিল, তার তুলনায় এখনকার মানুষজনের অবস্থায় বা কি রকম সেটা জানার আগ্রহী ছিলেন লেখক। খগ মোড়ল আর আমুতো মোড়লের বংশধর এর মুখে হাতি বেগার আইনের বিবরণ ও প্রজাদের বিদ্রোহের গল্প শুনেছি লেখক।
আবার থুথুরে বুড়ো মানুষের মুখে অতীতের সোনার দিনগুলির কথা শুনে। এখনকার যে অতীতের প্রজাদের সুখ ছিল বেশি। তাই বুড়োরা এখন দুঃখ করে বলে, আগে এত সরষে হতো না, যে সেই মাঠে মনের আনন্দে ছেলের দল লুকোচুরি খেলতো। মাঠে প্রচুর ধান হতো। এত ধান হতো যে সেই ধান খেয়ে কাক পক্ষীর অরুচি ধরে যেত। আগেকার দিন একটা গোয়ালে ৬০-৭০ টা গরু থাকতো। প্রচুর দুধ পাওয়া যেত। মানুষ সেই দুধ খেয়ে শেষ করতে পারত না। অতিরিক্ত দুধ নর্দমায় ঢেলে দিত।
পূর্বের সঙ্গে বর্তমানের পার্থক্য
কিন্তু এখন সেই দিন আর নেই। সেই ফসল কিংবা দুধ আর হয় না। এখন এক ফোটা দুধের জন্য মানুষকে পরের দুয়ারে হাত পাততে হয়। পাশাপাশি আছে জমিদারের অত্যাচার। বড় মানুষগুলো অতীতটাকে দেখেছে, বর্তমানটাকেও দেখেছে। অতীতের সুখে দিনগুলি মনে পড়লে তাদের দুঃখ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সেই দুঃখে ইতিহাসটি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন লেখক।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর