ভূমিকা
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের থিয়েটারের অভিনেতা রজনীকান্তকে তার প্রেমিকা থিয়েটার ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু ঘটনাচক্রে রজনীকান্ত থিয়েটারটি ছাড়লে তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। বহু বছর পর অতীত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রজনীকান্ত কালিনাথ কে বলেন থিয়েটারের অভিনেতা কেবল প্রেম উপযোগী, সংসার করার যোগ্যতা তাদের নেই।
কারণ
রজনীকান্তের অভিনয় মুগ্ধ হয়ে ধনী ঘরের সুন্দরী, অনুভূতিশীল, সারল্যে ভরা মেয়েটি যেচে আলাপ করে, ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘ মেলামেশার পর রজনী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে একটি শর্তে মিটি রাজী হয়। সে রজনী কে বলে থিয়েটার ছেড়ে দিতে। যে ‘থিয়েটারের’ কারণে রজনীকান্ত নিশ্চিন্ত ‘সম্মানজনক’ চাকুরী ছেড়েছে, যে ‘থিয়েটারের’ জন্য তাদের সম্পর্ক হয়েছে, তাছাড়া কথা রজনী মেনে নিতে পারেননি।
তার মনে হয়েছে ধনী পরিবারের মেয়ে সামান্য থিয়েটার অলার অর্থের প্রয়োজন মেটাতে পারবে না, তার মন থাকলেও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভরসা সে দিতে পারবে না। তাছাড়া মঞ্চে অভিনেতা সুনাম খ্যাতি থাকলেও সমাজে তাকে কদর করে না। থিয়েটারের পরিচয় কেউ মেয়ে বা বোনের বিয়ে দেয় না। অপরপক্ষে মেয়েটি রজনীকে ভালবাসে, তাই বিয়ের শর্ত হিসেবে থিয়েটার ছেড়ে দিতে বলেছিল। এই আঘাত রজনীকান্তের কাষ্টার্জিত সম্মান খেদিকে নিমেষের মধ্যে ধুলোসাৎ করেছিল।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর