বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নামক একাঙ্গ নাটকের চরিত্র প্রোমোটার কালিনাত সিন অভিনেতা রজনী চট্টোপাধ্যায় কে কথা বলেছেন।
মন্তব্যটির কারণ
নেশাগ্রস্ত রজনী চাটুজ্জে একদিন নাট্যাভিনয় শেষ হওয়ার পর গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়েন। ভেঙে বিগত জীবনের অচরিতার্থতা মনে করতে করতে তিনি হতাশায় অন্ধকারে ডুবে যান। রজনী সেই হাহাকারে সাক্ষী থাকে প্রোমোটার কালিনাথ। কালীনাথ রজনীর অভিনয় জীবনের সুদীর্ঘকালের সঙ্গী। সে তাকে একসময় দেখেছেন খ্যাতির শীর্ষে। রজনী অচরিতার্থতা, বেদনা, গ্লানি, ক্ষোভ, নিঃসঙ্গতা তাকে স্পর্শ করেছিল সমানভাবে। পুরনো দিনের স্মৃতিচারণায় রজনী উপলব্ধি করেন শিল্পীর মূল ক্ষমতা নিহিত থাকে তার অতি ভাই এবং প্রতিভাবান শিল্পী জরা-ব্যাধি-শোক-মৃত্যু সব কিছুকেই জয় করে চিরকালীন হয়ে ওঠেন।
এই উপলব্ধির কারণে হতাশাগ্রস্থ রজনীকান্ত আবার উন্মত আকুল হয়ে স্বর্গকে মত্তে নামানোর স্বপ্নে আচ্ছন্ন হয়ে ওঠেন। রজনী উন্মত, চরিত্র মিশে যাওয়া, অভিনয়ের জন্য শরবত ত্যাগী মানসিকতা কালীনাদের পূর্ব পরিচিত। এই পরিচিত রজনী চাটুজ্জেকে আবার খুঁজে পেয়েই বর্ষিয়ান কালীনাথ প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করে। প্রতিভাবান, অবিস্মরণীয় অভিনেতা রজনী একমাত্র পারে জীবনের সব না পাওয়াকে উপেক্ষা করে অভিনয় মত্ত হতে। এই তেজোদৃপ্ত, রজনীকান্ত কে পুনঃআবিষ্কার করেই তাকে ‘পুরনো দিনের মতোই আছেন’ বলা হয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর