“গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হলো।”- গল্পটা কি? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখক এর কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

উৎস

কার্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ পাঠ্যাংশে গল্পকথক তার মায়ের কাছে যে গল্পটি শুনেছিলেন সেই গল্পের কথায় আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।

পাথর থামিয়ে দেওয়ার ঘটনা

গল্পটি হল এরকম যে, গুরু নানক একবার প্রচন্ড গরমের সময় তার অনুচরদের নিয়ে পথ চলতে চলতে হাসান আব্দালের জঙ্গলে নামে একটি রুক্ষ পাথরে জায়গায় এসে পৌঁছান। সেখানে তার মর্দানা নামে এক অনুচর এতই তৃষ্ণার্ত হয়ে পরে যে গুরু নানক তাকে শত বুঝিও আর এক পাও নাড়াতে পারেন না। এরপর গুরু নানকের নির্দেশে মর্দানা ওই এলাকার একটিমাত্র জলপূর্ণ কুয়ার অধিকারী বলী কান্ধারি নামে এক দরবেশ এর কাছে যায় এবং জল পার্থনা করে।

কিন্তু বলি যখনই জানতে পারে যে মর্দানার ‘পীর নানকের সঙ্গী’, তখনই তাকে সে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটার পর গুরু নানক মৃত প্রায় মর্দানাকে একটি পাথর সরানো নির্দেশ দেন এবং তখন সেখানে ঝরনার উৎপত্তি ঘটে, অন্যদিকে বলির জলশূন্য হয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত বলি গুরু নানককে হত্যার জন্য একটি পাথর খণ্ড নিক্ষেপ করলেন গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধবনি উচ্চারণ করে মর্দানাকে সরতে বলে হাত দিয়ে পাথরটি থামিয়ে দেন। তার হস্তছাব্বিশিষ্ট পাথরটির নাম ‘পাঞ্জা সাহেব’।

প্রতিক্রিয়া

গল্পটা শুনে লেখক এর যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আনার ঘটনাটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হলেও পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া চআঙড় হাত দিয়ে থানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা তিনি কিছুতেই মানতে পারলেন না।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment