বক্তা
নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ শীর্ষক একাঙ্ক নাটক নাটকে একদা মঞ্চে দাপুটে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কালীনাথ এর উদ্দেশ্যে প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
মন্তব্যের কারণ
রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একজন বর্ষীয়ান অভিনেতা। কালীনাথের সঙ্গে কথোপকথন কালে অতীতের গরিমার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে রজনীকান্ত যেন সহসা ফিরে যান তার যৌবন। অভিনয় নেশায় একসময় তিনি আত্মীয় পরিজন ছেড়েছেন, পুলিশের চাকরির নির্ভরযোগ্য সংস্থান ছেড়েছেন, এমনকি দীর্ঘদিনের প্রেম সম্পর্ককে অভিসর্জন দিয়েছেন এই জনপ্রিয় সুপ্রতিভ থিয়েটার অভিনেতা। সময় বদলেছে, বয়স দক্ষতায় থাবা বসিয়েছে, কিন্তু পারেনি। তাই ‘রিজিয়া’ নাটকের বক্তিয়ার চরিত্রের কিয়দংশ একাকী অভিনয় করার সূত্রে তিনি তার হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। এরপর উজ্জীবিত রজনীকান্ত দ্বিজেন্দ্রলালের ‘শাজাহান’ নাটকের ঔরঙ্গজেব ও মোহাম্মদের কথোপকথনের দৃশ্যটি একাই অভিনয় করার প্রয়াস করেন। সিংহাসনের দাবিদার সকল ভ্রাতাকে হত্যা করে মধ্যরাতে ঔরঙ্গজেবের আত্মযন্ত্রণা দৃশ্যটি অভিনয় করতে করতে তার শিল্পসত্তা আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষায় বর্ণময় হয়ে উঠেছে।
যদিও প্রেক্ষাগৃহে কেবল প্রোমোটার কালিনাথ সেন ভিন্ন আর কেউ নেই, তবুও তারই সামনে রজনীকান্ত তার অভিনয় জীবনের সকল অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিয়ে শেষবারের মতো জ্বলে উঠেছেন। ৬৮ বছর অতিক্রান্ত রজনীকান্ত এইভাবে ফের আবার তার শিল্প সত্তার কুর্নিশ করে পুনরায় জীবন সংগ্রামের অবতীর্ণ হওয়ার রসদ সংগ্রহ করে নিজের সচেষ্ট হয়েছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর