উত্তর :
পার্শ্বচরিত্র
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে (১৩৫০ বঙ্গাব্দ) দুর্ভিক্ষ মন্বন্তরের পটভূমিতে লেখা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পের পার্শ্ব চরিত্র টুনুর মা নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী। ও প্রধান চরিত্র হয়েও কাহিনীর মূলভাব প্রকাশে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক টুনুর মায়ের চরিত্র।
যথার্থ সহধর্মিনী
টুনুর মা সংবেদনশীল মনের অধিকারিনী। অন্যহীন মানুষের হাহাকারের মাঝে গল্পে নায়ক মৃত্যুঞ্জয় যখন হারিয়ে ফেলেছিল তার নির্বিবাদ বেঁচে থাকার স্বাদ, আপ্রাণ চেষ্টায় সে যখন বাঁচতে চাইছিল দুর্ভিক্ষপীড়িত, অসহায় মানুষগুলোকে তখন তার যাবতীয় প্রচেষ্টার সঙ্গী হয়েছে তার স্ত্রী। মৃত্যুঞ্জয় মতো সেও এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল, তার স্পর্শকাতর মন জড়িয়ে পড়েছিল সমাজের বৃহত্তর অবক্ষয়ের সঙ্গে।
কর্তব্যপরায়ণতা
টুনুর মা কর্তব্যপরায়ণা। এক বেলা না খেয়ে শয্যাসয়ী হলেও সে মৃত্যুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে ভোলেনি। নিরন্ন মানুষের মিছিল তার মনকে আন্দোলিত করেছিল গরিব ভাবে। তাই সেও মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে পথে নেমেছিল নিজ দায়িত্বে। কেবল সংসারিক স্বার্থের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে নয়, অসংখ্য মানুষের জীবন সংগ্রামের পাশে এসে থাকতে চেয়েছিল গরিব ভাবে। আলোচ্য গল্পে সে বলেছে – “ছেলে মেয়ে গুলির জন্য সত্যি আমার ভাবনা হয়না। কেবলই মনে পড়ে ফুটপাতের ওই লোকগুলির কথা।”
মনুষ্যত্ববোধ
মৃত্যুঞ্জয় জীবন যাপনের যে ধর্মকে শেষ পর্যন্ত প্রধান হিসেবে দেখেছে, সেই মনুষ্যত্বের ধর্মেই নির্দ্বিধায় আস্থা রেখেছে তার স্ত্রী। টুনুর মা প্রকৃত বন্ধুর মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সাহস যুগিয়েছে। অনুভূতিশীল মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী কোনভাবে মৃত্যুঞ্জয়কে সাংসারিক স্বার্থপরতায় বাঁধতে চাইনি। মুক্ত মনের অধিকারিণী টুনুর মা যথার্থ মনুষত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে আলোচ্য কাহিনীতে এবং এখানেই এই চরিত্রের গঠনের সার্থকতা প্রকাশ পেয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পটির প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?
মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে মৃত্যুর প্রথম সাক্ষাৎ কখন হয়েছিল ?
অপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কি দেখল ?
ছোট গল্প হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পটির কতখানি সার্থক, আলোচনা করো ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র আলোচনা করো ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্প অবলম্বনে মৃত্যুঞ্জয় স্ত্রী তথা টুনুর মা-এর চরিত্র আলোচনা করো ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ছোট গল্প অবলম্বনে নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করা ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পে লেখকের মানবদরদি মানসিকতা কিভাবে ফুটে উঠেছে, তা আলোচনা করো ?
“একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালও বাসে” -কে , কাকে, কেন পছন্দ করত বা ভালোবাসত ?
“এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ?” -কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে ? বক্তা কেন নিজেকে অপরাধী মনে করেছেন?
“দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছু নেই এ জগতে” -কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে? এমন বলার কারণ কি?
“এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।” -কে, কেন এবং কিভাবে দেশের লোককে বাঁচাতে চায় ?
‘শহরের আদি অন্তহীন ফুটপাথ ধরে সে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।’ – ‘ঘুরে ঘুরে’ সে কি দেখে এবং কি উপলব্ধি করে?
“তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।” -কারো অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কি