কোঠারি কমিশন ১৯৪৪ থেকে ১৯৬৬ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার যে সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সুপারিশ করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১ আধুনিকীকরণ
কমিশনের মতে, শিক্ষার আধুনিকিকরণ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। মাধ্যমিক শিক্ষাকে সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সংগঠিত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের উৎসাহী হয় এবং দেশের আধুনিক চিন্তা ও চেতনার সঙ্গে পরিচিত হয়।
২ গণতান্ত্রিক নাগরিকতা
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক নাগরিকতার বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। সেই অনুসারে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমের মধ্যে এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে সকল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক নাগরিকত্বের বিকাশ ঘটে।
৩ উৎপাদনশীলতা
কোঠারি কমিশন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে বৃত্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবসাকে বৃত্তিমুখী করার গুরুত্ব দিয়েছেন।
৪ সামাজিক ও জাতীয় সংহতি
কোঠারি কমিশনের মতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর মধ্যে সামাজিক ও সামাজিক ও জাতীয় সংহতির বিকাশ ঘটানো। সামাজিক ও জাতীয় সংহতের বিকাশের জন্য কমিশন সার্বজনীন বিদ্যালয় ব্যবস্থা চালু করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এখানে ধর্ম, বর্ণ, অর্থ জাতি নির্বিশেষে সকল শিশু এই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। শিশুরা মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করবে।
৫ সামাজিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের বিকাশ
কমিশনের মতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীর মধ্যে সামাজিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।