ভূমিকা
কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্পটিতে শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক গুরু নানকের জীবনের একটি খন্ড চিত্র ধরা পড়েছে।
গুরু নানকের কাহিনী
হাসান আব্দালের জঙ্গলে প্রচন্ড গরমে গুরু নানক তার অনুচরণবর্গ সহ যাত্রা করেছিলেন। পথে তার অন্যতম অনুসরণ মর্দানা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়েছিল। গুরু নানক তাকে অনেক বুঝিয়ে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেন। এ থেকে তার স্নেহবাৎসল্যের পরিচয় মেলে। মর্দানার একগুঁমেতি তিনি রুষ্ট হননি, তার প্রতি কঠিন হননি। শীর্ষের প্রতি গভীর মমতা তার আচরণে ধরা পড়েছে।
বলী কান্ধারি যখন মর্দানাকে জল না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেন, তখনো গুরু নানু মর্দানাকে পুনরায় নস্রভাবে বলীর কাছে, পাঠিয়েছেন এবং তার কাছে নিজেকে ‘নানক দরবেশের অনুচর’ হিসেবে পরিচয় দিতে বলেছেন। এর থেকে গুরু নানকের সহনশীল ব্যক্তিদের পরিচয় পায়। শেষ পর্যন্ত মর্দানের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য তিনি পাথর ছড়িয়ে ঝরনার সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তবুও প্রথমেই অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় দেন নি বরং নিজের ক্ষমতাকে আড়াল করেছেন। বলির নিক্ষিপ্ত পাথরটি হাতের ছোঁয়ায় থামিয়েছেন তিনি, কিন্তু বলীকে কোন শাস্তি দেননি; যা তার অহিংস, উদার, সৌম্য ও ক্ষমতাশালী মনের পরিচয়ক।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর