সংজ্ঞা
ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় ভাষার বিবিধ উপকরণ-ধবনি, শব্দ, বাক্য ইত্যাদির প্রয়োগ বিন্যাসের নীতি নির্দেশ আলোচিত হয়, তাকে শৈলীবিজ্ঞান বলে। অর্থাৎ নন্দনতত্ত্ব ও ভাষাবিজ্ঞানের এক অসামান্য মেলবন্ধন শৈলী বিজ্ঞান।
প্রয়োগ
বাক্য ব্যবহারে নিজস্ব প্রকাশভঙ্গি হলো শৈলী। কিন্তু ব্যাকরণ বিধি লঙ্ঘিত হলেও অন্তর্নিহিত নিয়ম নীতি মেনে চলা হয় বাক্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে। G.W.Turner বলেছেন- ‘Stylistics means tha study of style, with suggestions,from the form of the word, a scientific or at least a methodical study ,’ (‘Stylistics’, 1973)। ভাষায় বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বিধি (norm) ধরে ধবনি, শব্দ বাক্য গঠন ইত্যাদি আলোচিত হয়। আর তখনই রচয়িতার পরিমিতিবোধ, ভাষার সৌকর্য ইত্যাদি বিষয় গুরুত্ব পায়। প্রকাশভঙ্গির স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত বিশিষ্ট তাই শৈলীর প্রধান পরিচয় চিহ্ন।
ব্যতিক্রম
ব্যাকরণসম্মত না হয়েও প্রকাশভঙ্গিতে বৃহত্তম ব্যঞ্জনা সৃষ্টি হলে নতুন শৈলীর উদ্ভব ঘটে। যেমন – ওপারের কালো রং বৃষ্টি পরে ঝমঝম।। এপারেও লঙ্কা গাছটি রাঙা টুকটুক করে। গুণবতী ভাই আমার মন কেমন করে।
উদ্দেশ্য
ছোট ভাইকে ফেলে এসে শশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় বালিকা বধূর বেদনা শুধু গুরুত্ব পেল। তার ‘গুণবান’ হওয়ার দায় থাকল না। কাব্য-উপন্যাস-নাটক ইত্যাদি শব্দ-ধবনি-বাক্যবিন্যাস খন্ড-বিখন্ড করে দেখা শৈলী বিজ্ঞানের বিষয় নয়। বরং তার শিল্প সুষমা, সার্বিক আবেদন আলোচোনা এর মূল লক্ষ্য। সাহিত্যের মূলভাবটি যে বাণী রূপ লাভ করে, তার শিল্পসৌকর্য হলো শরীরে বিজ্ঞানের প্রাণ।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর