ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য গুলি সূত্রাকারে লেখো?

ভাষার উৎস-বিকাশ-বিবর্তনের রুপরেখাটিকে বইজ্ঞআননইর্ভর দৃষ্টিকোণ আজ থেকে বিদায় বিশ্লেষণ করা হয় ভাষাবিজ্ঞানের যে ধারায়, তাকে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান বা history linguistics বলে। এই ভাষা বিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নরুপ-

প্রথমত : ব্যক্তি নিরপেক্ষভাবে একটি ভাষা সম্প্রদায়ের প্রচলিত ভাষ ার গালে কালে রূপবতল কে এখানে পর্যালোচনা করা হয়। তাই গঠিত হয় জাতীয় বৃত্তীয় ভাষাতত্ত্ব।

দ্বিতীয়ত : ভাষা কালে কালে রূপান্তর গুলি ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের বিবেচ্য বলে একে কাল ক্রমিক ভাষাবিজ্ঞানও বলে।

তৃতীয়ত : ভাষা ইতিহাস তথা ঐতিহ্য তুলে ধরতে এখানে বিবেচ্য ও যুক্তিকে দুটি পর্বে ভাগ করা হয়-ঐতিহাসিক পর্ব ও প্রাগৈতিহাসিক পর্ব।

চতুর্থত : ঐতিহাসিক যুগে প্রত্নলিপি, পুথি ইত্যাদি থেকে তথ্য নিয়ে এখানে ভাষার বিজ্ঞান নির্ভর বিচার বিশ্লেষণ চলে।

পঞ্চমত : প্রাগৈতিহাসিক যুগের আদিম ভাষা সম্পর্কে নানা বৈজ্ঞানিক, মনস্তাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই ভাষার উৎস ও রূপরেখা উদ্ধার সম্ভব হয় এই ভাষা চর্চার মাধ্যমিক।

ষষ্ঠত : ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান ভাষা পরিবর্তনে সর্বজনীন তত্ত্ব। বিশেষ ভাষার কালানুক্রমিক বা ঐতিহাসিক বিকাশ ও পরিবর্তনের সূত্র উদঘাটনের কাজ। তাই এ ভাষার কাল ক্রমিক তুলনায় পরিবর্তে সূত্র উদঘাটন করে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান।

সপ্তমত : ভাষার কালানুক্রমিক পরিবর্তন হয় শৃঙ্খলা মেনে। ভাষার পরিবর্তে সেই শৃঙ্খলা উদঘাটন এইতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের বিশেষত্ব।

অষ্টমত : এককাল থেকে অন্য কাল ভাষা যেসব পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় সেগুলো উপাত্ত রূপে ব্যবহৃত হয় ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment