ওরা এবং আমরা
আলোচ্য প্রবন্ধের সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘ওরা’ বলতে গারো পাহাড়ের হাজং -গারো -কোচ-বানাই-ডালু-মার গান ইত্যাদি জনজাতির মানুষ; যাদের অবস্থান বর্তমান শিক্ষা ও সভ্যতার আলোকময়তা থেকে, ভোগবাদী জীবনযাত্রা থেকে অনেক দূরে তাদের বুঝিয়েছেন। ‘আমরা’ বলতে তিনি আধুনিক সভ্য জগতের শিক্ষিত, ভোগ সুখপরায়ণ, স্বার্থন্বেষী, আত্মকেন্দ্রিক মানুষদের চিহ্নিত করেছেন। লেখক চাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই গদ্যে।
বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য
আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক পাহাড়ের বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা ছবি এঁকেছেন, মানবিক দৃষ্টিতে দেখেছেন তাদের। এই বিশাল ভারতবর্ষে নানা ভাষা ও নানা ধর্মের মানুষ বসবাস করলেও, আমরা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যবোধে দাবি করে এসেছি। অথচ আমরা কি সত্যই এসব হাজং-ডালু-গারো-বানাই-কোচ-মার্গান ইত্যাদি জনজাতি মানুষদেরকে কাছে টেনে নিতে পেরেছি? এই প্রশ্নই আমাদের সামনে এনেছে লেখক।
ওরা ‘আমরা’ পার্থক্য
এই ‘ওরা’ এবং ’আমরা’ উভয়ই বাংলাদেশের মানুষ। তবুও ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে জীবনযাত্রা ও চলাচলনের ভিন্নতায় ওরা আমাদের দৃষ্টিতে পাশ্চাৎপদ, বন্য, আপঙক্তেয়। আমরা পর্যটনের দাবিতে ওদের জীবনযাত্রা পরিদর্শন করতে যাই, অসহায় তো আর মেয়ে কি সমবেদনায় বিস্ময় প্রকাশ করি। কিন্তু একতা বজায় রাখতে পারি না।
বৈষম্য এবং ঔদাসীন্যের দূরত্ব
লেখক একবার তাদের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। তার দরদি অনুভবে তিনি বুঝেছিলেন যে, আমরা আধুনিক সভ্য সমাজের মানুষেরা চিরদিন ওদের উপেক্ষা করেই এসেছি। তাই ওরাও আমাদের সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। একটা বৈষম্য আর ঔদাসীন্যের দূরত্ব রয়ে, যা ওরা-আমরা সম্পর্কের জন্য দায়ী। এই উপলব্ধি প্রবন্ধে লেখক শেষে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর