বলী কান্ধারির পরিচয়
কার্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে প্রশ্নের প্রদত্ত অংশটি গৃহীত। এখানে ‘উনি’ হলেন বলী কান্ধারি, যিনি একজন দরবেশ বা সাধু হয়েও বিজাতির হিংসায় চালিত হয়ে তার কুড়ো থেকে গুরু নানকের শীষ্য মর্দানাকে জল পান করতে দেয়নি; উপরন্তু তার প্রতি নির্দয়, ঘেন্ন ও অমানবিক ব্যবহার করেছেন।
তার হতভম্ব হওয়ার কারণ
বলী কান্ধারি যখন দেখবেন তার নিজের জলপূর্ণ কুয়োটি জলশূন্য হয়ে গেছে এবং নিজে গুরু নানকের উচ্ছ্বাস একটি নতুন দেখা দিয়েছে, তখন তিনি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। আসলে গুরু নানক যখন দেখেন তৃষ্ণার্ত মর্দানের সঙ্গে বলী কান্ধারি নিষ্ঠুর ব্যবহার করেছেন, তখন প্রায় অচেতন মর্দানাকে পরম স্নেহই অনেক বুঝিয়ে একটি পাথর সরাতে বলেন। যে পাথরটি সরাতেই বিস্ময়কর ভাবে ঝর্ণার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই জলেই মর্দানার তৃষ্ণা নিবারণ হয়।
বলী কান্ধারি ভেবেছিলেন গুরু নানকের অনুগামী কে জল না দিয়ে তিনি ‘কাফের’কে , অর্থাৎ ভিন্ন ধর্মী নানককে বুঝিয়ে দেবেন যে তার ক্ষমতা নানকের চেয়ে বেশি। কিন্তু তিনি ভাবতে পারেননি যে, কত নস্র, শান্ত ও নির্বিকারভাবে গুরু নানক তার সেই ঔদ্ধত্য ও অহংকার চূর্ণ করবে। তাই যখন তিনি দেখলেন তার কুয়োটি জলশূন্য অথচ রুক্ষ জমিতে গুরু নানক জলধরা সঞ্চালন করেছেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই ‘হতভম্ব’ হয়ে গেলেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর