কার্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্পে বর্ণিত হাসান আব্দালে জঙ্গলে এসে উপস্থিত হন গুরু নানক ও তার সঙ্গীরা। প্রচন্ড গরমে সেখানকার গাছপালা ও শুকিয়ে মৃত। শুধু পাথর আর বালি, জনমানবের চিহ্ন মাত্র নেই সেখানে। অপরদিকে শীষ্য মর্দানা তৃষ্ণায় কাতর। গুরু নানক তাকে অপেক্ষ করতে বললে সে নারাজ হয়। অতঃপর গুরু নানক তাকে বলে পাহাড়ের উপর বলী কান্ধারি নামক সাধুর কুটিরের সংলগ্ন যেকু আছে সেখানে জল পাওয়া যেতে পারে।
জল প্রাপ্তির ঘটনা
প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণার্ত ও মৃত প্রায় মর্দানা গুরু নানকের নির্দেশে প্রায় প্রাণ পাঠ করে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে এবং সেই অঞ্চলের একটিমাত্র জলকন্যা কুয়োর অধিকারী বলী কান্ধারি কাছে জল পার্থনা করে। কিন্তু বলি যখনই জানতে পারে যে সে পীর নানকের শিষ্য; তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন পানের জল তো দিলই না, বরং দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিলেন।
এরপরেও গুরু নানুকে নির্দেশে মর্দানা তার কাছে পুনরায় গেলে বলি বলেন যে, নানু যদি তার তৃষ্ণার্ত শিষ্যকে পানীয় জলটুকুও দেওয়ার ক্ষমতা না রাখে, তবে তিনি নিজেকে ‘পীর’ বলে পরিচিত দেন কেন। জলের অভাবে প্রায় অচেতন মর্দানা গুরু নানকের কাছে ফিরে আসে। গুরু নানক তাকে আশ্বস্ত করে সামনের একটি পাথর সরাতে বলেন। মর্দানা তা করতেই মুহূর্তের মধ্যে সেখানে জল-ধারা নির্গত হয় এবং চারিদিকে জলে থৈ থৈ করতে থাকে।। গুরু নানকের মহিমা রুক্ষ পাথরে জায়গায় নিমেষের মধ্যে ঝরনার উদয় ঘটেছিল এবং এই বাক্যাংশের সেই প্রসঙ্গেই উল্লেখ রয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর