‘অলৌকিক’ গল্পের হাত দিয়ে পাথরে চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেনি কেন? পরে কিভাবে সেই ঘটনা তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল?

প্রথমে বিশ্বাস না করার কারণ

প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি কার্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে নেয়া হয়েছে। গুরু নানক তার হাতের ছোঁয়ায় একটি পতনশীল পাথরের চাঙড়ের গতিরোধ করেছিলেন এবং আজও সেই পাথরের তার হাতে ছাপ লেগে আছে। এই গল্প শুনে আজকের যুগের আধুনিক বিজ্ঞানমনোভাবপন্ন লেখক এর মনে হয়েছিল, এই কাহিনী বানানো এবং পরবর্তীকালে ওই পাথরের গায়ে কেউ ওই ছাপ খোদাই করেছে। কেননা, পাথরে হাতের ছোঁয়ায় ছাপ থাকার কাহিনী অযৌক্তিক বলে লেখক মনে করেছিলেন।

বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কারণ

লেখক এরূপ ধারণায় যে ভ্রান্ত ছিল, তা পরবর্তীকালে অন্য আরেকটি ঘটনা শোনার ফলে তিনি বোঝেন। দূরবর্তী একটি শহরের বিদেশীরা নিরস্ত্র ভারতীয় বিপ্লবীদের উপর গুলি চালিয়েছেন। বন্দী করে অন্যত্র‌ও পাঠানো হচ্ছে তাদের, তার তৃষ্ণার্ত একসঙ্গে ক্ষুধার্ত ও মৃত প্রায়। বিদেশিরা হুক ুম দিয়েছে বন্দিরা মারা গেলেও ট্রেন কোথাও থামানো হবেনা। পাঞ্জাব সাহেবের অধিবাসীরা অভুক্ত বন্দীদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে রাখে। কিন্তু আবেদন নিবেদন করেও ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা তারা করতে পারে না। তখন শহরবাসী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। তাদের বুকের উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা চলে যায় এবং অবশেষে দাঁড়ায়। পাঞ্জা সাহেবের মানুষদের জীবনে বিনিময় স্টেশন এ ট্রেন দাঁড় করানোর কাহিনী শোনার পরিবেশে নিজের ধারণা যে ভ্রান্ত তা বুঝতে পারেন এবং পূর্বের ঘটনাটি তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment