যে মানুষদের কথা বলা হয়েছে
‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে মহুয়ার দেশের কয়লা খনিতে সারারাত কাজ করা ক্লান্ত অবসন্ন শ্রমিকদের কথা বলা হয়েছে।
অবসানের কারণ
‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবির সমর সেন দেখাতে চেয়েছেন অন্যরকম একটি সত্যের ছবি। শহরের ধূসর নাগরিক জীবনের অভ্যাস তো মানুষকে যখন ক্লান্তি গ্রাস করে, তার থেকে মুক্তি পেতে তাদের মন পৌছাতে চায় মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ। যেখানে দেবদারুর রহস্য ছায়া ফেলে পথের দু ধারে, কবি চান সেখানে তার ক্লান্তিকে ভুলিয়ে দিক মহুয়ার গন্ধ। কিন্তু কবি যখন খুব কাছ থেকে মহুয়ার দেশ কে দেখেন তখন উপলব্ধি করেন ক্লান্তিহীন একমাত্রিক পরিতৃপ্তি ছাড়াও সেখানে রয়েছে পুঁজিবাদের আগ্রাসন।
সেখানে বাস্তবতার সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। তাই মহুয়ার দেশের নিবিড় অন্ধকারে ও শোনা যায় কয়লা খনির মর্মভেদী শব্দ। শিশির ধৌত নির্মল সকালে দেখা যায় অবসন্ন মানুষগুলি শরীরে লেগে আছে ‘ধুলোর কলঙ্ক’ । মহুয়ার দেশের প্রকৃতি লগ্ন মানুষগুলি অসহায় আত্মসমর্পণ করে আধুনিক সভ্যতার কাছে। যা চিরতরে বদলে গিয়েছে তাদের অস্তিত্ব। জীবনে যাবতীয় স্বপ্ন তারা হারিয়ে ফেলেছে পুঁজিবাদী সভ্যতার আধিপত্যে। সারারাত শ্রম দিয়েও ভালো থাকতে না পারার যন্ত্রণায় মহুয়ার দেশের মানুষগুলি অবসন্ন হয়ে পড়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর