ভূমিকা
গদ্য ছন্দের কবি সমর সেন, তিনি নাগরিক কবি। নাগর কেন্দ্রিক ভালোলাগা বারবার উঠে এসেছে তার নানা কবিতায়। এই কবিতাটি সেই দিক থেকে ভিন্ন। নগর জীবনের মধ্যবিত্ত মানসিকতার ক্লান্তি যন্ত্রনা কে মহুয়ার দেশ কবিতার মাধ্যমে এক ভিন্ন ব্যঞ্জনা দান করেছে। নিজের কবিতার প্রেক্ষাপট আলোচনা করতে গিয়ে সমর্থন বলেছেন যে তার বেশি অনুরাগ ছিল এলিয়টের প্রতি। সমর সেন মুখত্য নাগরিক মধ্যবিত্ত জীবনের অবক্ষয়ের কবি।
ভাষার ব্যবহার
তিনি ছিলেন মূলত গদ্য ছন্দের কবি। তার কবিতায় আমরা বারবার লক্ষ্য করি মূল বক্তব্য ও চিত্রকল্পে মেলবন্ধন। মহুয়ার দেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রকৃতি কেন্দ্রে বর্ণনায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে আসে চূড়ান্ত রোমান্টিকতা। মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ নিয়ে আসে মদিরতা। ‘অলস সূর্য’, ‘গলিত সোনা’ ‘উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ’ শব্দগুলি সৃষ্টি করে কাব্যিক ব্যঞ্জনার। ক্লান্ত-শ্রান্ত প্রাণ বোঝাতে কবি ব্যবহার করেন ‘সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস’, ‘নির্জন নিঃসঙ্গতা’ শব্দবন্ধগুলি। চির আকাঙ্ক্ষিত মহুয়ার দেশ গিয়ে যখন স্বপ্নভঙ্গ হয় তখন কবি লেখেন-
“এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারের মাঝে মাঝে শুনি মহুয়া বনের ধারে কয়লার খনির গভীর, বিশাল শব্দ,”
উপসংহার
সমর সেন লেখনীর মাধ্যমিকের সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তা এক কথায় অসামান্য। তা নিজের সাথে এখানেই তাকে অন্যদের থেকে পৃথক করে তুলেছে তা নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর