ভূমিকা
বাংলার সাহিত্যের ভিন্ন ধারায় কোথাকার সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ তার ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটির মূল কাহিনীতে প্রবেশের পূর্বে রাঢ়ের শীত প্রসঙ্গ এনেছেন। রঢ়বাংলার শীত আসে শীত যায়। কখনো পৌষের শীত অন্যরূপে দেখায়, তার কামড় তখন অসহ্য হয়ে ওঠে।
শীতকালীন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া
গল্পে দেখা যায় বেশ কিছু গ্রামের কেন্দ্র করে ওঠা বাজারের উত্তরে যে বিশাল মাঠ, সেখানে থেকে কনকনে শীত বাতাস বয়ে আসছিল সর্বক্ষণ। হঠাৎ নীল আকাশ মেঘে মেঘে ধূসর হয়ে গেল, কিছু পরে শুরু হল ঝিরঝিরি বৃষ্টি। এতে রঢ়বাংলার জাকালো শীত হলো ধারালো। ভদ্রলোকেরা ভাষা এটি ‘পৌষে বাদলা’, ছোটলোকেরা বলে ‘ডাওর’ । আবার এই প্রবল বৃষ্টি ভেজা শীতের সঙ্গে ঝড়ের সহোজও ঘটলে তখন সেটি ‘ফাঁপি’। এবারের শীত ফাঁপিতে পরিণত হলো। চাষীদের পাকা ধান কখনো মাঠে পরে। পরম দুশ্চিন্তায় লোকেরা গঞ্জের চা দোকানে এসে আড্ডা জমাল। প্রতীক্ষা করে থাকল, সূর্য ওঠার।
আবহাওয়া প্রভাব
রঢ়বাংলার এই শীত চিত্রকে ‘পৌষে বাদলা’, ‘ডাওর’ ও ‘ফাঁসি’ যাই বলা যাক না কেন, মানুষের মনে তার ছাপটি বলল গাড় হয়ে। ক্ষিপ্ত মন নিয়ে জমানো আড্ডায়, চা পান সহযোগে চলল তর্ক বিতর্ক, যাতে কোন প্রসঙ্গ অপ্রসঙ্গ নেই। আসলে দুরন্ত শীতের আকাল দুর্যোগের গ্রাম ে ঘরে বসে বসে মানুষ আর সময় কাটাতে চায় না। তাই -“সবাই চলে আসে সভ্যতার ছোট্ট উনুনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর