স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে লন টেনিস ও টেবিল টেনিসে বাঙালির অবদান আলোচনা করো?

স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয়কালে বাঙালিরা লন টেনিস ও টেবিল টেনিস পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।

অবদান

লন টেনিস : লন টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে যার নাম আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে তিনি হলেন লিয়েন্ডার পেজ। অজস্র আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। লিয়েন্ডার ১৪ টি গ্র্যান্ডস্লাম দখল করেন, একসঙ্গে রয়েছে অলিম্পিক পদক‌ও, সঙ্গে ৫৩ টি এটিপি খেতাব। তাছাড়া আছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, ইউ এস ওপেন, উইম্বলডন ইত্যাদি। ‘অর্জুন’ পুরস্কারের ও সম্মানিত হন তিনি। বাংলায় খেলা প্রচলন করে বেঙ্গল লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। লন টেনিস সর্বজন শ্রদ্ধেয় বাঙালি খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়দীপ মুখার্জি, জিসান আলী ও দিলীপ পশুর নাম করা যেতে পারে। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে জয়দীপ মুখার্জি ‘অর্জুন পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ডেভিস কাপ প্রথম বাঙালি খেলোয়াড় ছিলেন দিলীপ বসু, উইম্বলডনে শেষ ১৬ পা রেখেছিলেন তিন।

টেবিল টেনিস : উত্তরবঙ্গের টেবিল টেনিস শহর বলে পরিচিত শিলিগুড়ি টেবিল টেনিসের দ্রোণাচার্য বলা হয় ভারতীয় ঘোষকে। শিলিগুড়ি থেকে মান্টু ঘোষের পর কস্তুরী চক্রবর্তী, শুভজিৎ সাহা, সৌমজিৎ ঘোষ এবং অঙ্কিতা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৯৬, ১৯৯৮-১৯৯ খ্রিস্টাব্দে জুনিয়ার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতে নিজেকে চেনান পশ্চিমবঙ্গের পৌলমী ঘটক। ভারতের একমাত্র মহিলা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে অঙ্কিতা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বাঙালি টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে শুভজিৎ সাহা কমনওয়েলথ গেমস এ শোনা যেতেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের প্রথম টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন স্থাপিত হয় এই বাংলায়। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়ার্ল্ড টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ’ এর জন্য কলকাতা ‘নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম’ তৈরি হয়।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment