‘গারো পাহাড়ের নিচে’ প্রবন্ধে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সরল ও সাবলীলভাবে সুসং পরগনা এবং সোমেশ্বরী নদীর বর্ণনা করেছেন।
সুসং পরগনা
গারো পাহাড়ি ঠিক নিচেই অবস্থিত সুসং পরগনা। রেললাইন থেকে অনেকটা দূরে অবস্থানের জন্য এখানে যাওয়া আসার পথ অত্যন্ত দুর্গম। এই কারণে হাঁটা ছাড়া এ অঞ্চলে যাওয়ার অন্য উপায় নেই। সুসং পরগণায় গারো-হাজং-ডালু-কোচ-বানাই-মার্গান প্রভৃতি জনজাতির বাস। কোন উঁচু টিলা থেকে বিস্তৃত ধানের জমি দেখলে মনে হবে যেন-সীমাহীন নীল সমুদ্র আহ্লাদে সবুজ হয়েছে।
সোমেশ্বরী নদী
সুসং শহরের গাঁ ঘেঁসে গেছে পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী। অন্যান্য সময় চেয়ে শীতকালীন ঐদিকে দেখতে ভারী সুন্দর ও শান্তশিষ্ট মনে হয়, যেন হেঁটেই পার হওয়া যাবে। কিন্তু জলে পা দিলেই মনে হবে কেউ যেন পাৎদরি বেঁধে টেনে নিচ্ছে। এমন তীক্ষ্ণ ও ভয়ঙ্কর নদীর স্রোত। লেখক বলেছেন -“স্রোত তো নয়, যেন কুমিরের দাঁত।… সর্বদা যেন রেগে টং হয়ে আছে।
ফেরিঘাটের চিত্র
অবশ্য ফেরিঘাটের চিত্র আলাদা। সে পথে গেলে খুব সহজেই নদী পার হওয়া যায়। নৌকায় মানুষের সঙ্গে গরু, ঘোড়াও পার হয়। হিন্দুস্থানী মাঝিরার খেয়া পারাপার করে।
লেখক বলেছেন, তাদের মেজাজ ভালো থাকলে দেশ-বিদেশের খবর তারা জানতে চাইবে। মাঝি গর্ব করে বলবে-বাংলা সমস্ত ফেরিঘাটের মালিক তার বিহারী মনিব। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নিখুঁত বর্ণনায় পাঠকের কাছে আজও সুশান্ত পরগনা এবং সোমেশ্বরী নদীর জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর