সবুজের প্রতি আকাঙ্ক্ষা
সবুজের প্রতি মানুষের চাহিদা চিরন্তর, কারণেই চাহিদা স্বতঃস্ফূর্ত এবং অমোঘ। সবুজ না থাকলে জীবন ধূসর, বিমর্ষ হয়ে পড়ে। গাছের সবুজ, সর্ষের সবুজ আমাদের পরিবেশকে শুধু শ্যামলা করে তোলে না-জীবনকেও স্নিগ্ধ শ্যামলিমায় ভরিয়ে রাখে। তাই অরণ্যপ্রেমী, বৃক্ষ প্রেমী কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় সবুজে চিরন্তর চাহিদার বিষয়টি অপূর্ব দক্ষতায় প্রকাশ করেছেন। বোহেমিয়ান কবি বহুদিন জঙ্গলে যাননি, শহরেই আছেন। তার শরীর ভালো নেই। তার গাছ দেখার, সবুজ দেখার প্রয়োজন। তার দৃষ্টি চাইছে, শরীর চাইছে সবুজকে-
“চোখ তো সবুজ চাই ! দেহ চাই সবুজ বাগান” কিন্তু চাইলেই কি শহরে এসব পাওয়া যায়? শহরটাও যে বড় অসুস্থ- “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে…”
কবির ব্যাখ্যা
অথচ কবির “আরবে জন্য এই সবুজের ভীষণ দরকার” । শুধু শরীরের আরোগ্য নয় মনেরও আরোগ্য চাই। শরীরের অস্তিত্ব আর মনের বিষাদ দূর করতে প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন গাছ আর গাছের সবুজের। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ সচেতন, কেউবা সচেতন নয়। গাছ সর্বসংহা, বিষহরা। সে আমাদের বর্জিত বিষাক্ত বায়ু গ্রহণ করে, দান করে নির্মল শ্বাসবায়ু। আর ও অসংখ্য উপায়ে মানুষের বেঁচে থাকাকে শোভন, সুন্দর ও তাৎপর্যময় করে তোলে গাছ। সবুজের প্রতি মানুষের চিরন্তর চাহিদা কে কবি এই ভাবেই কাব্যায়িত করেছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর