“সবাই দেখলো বুড়ি নড়বড় করে বাঁকের মুখে বটতলায় গেল।”- বুড়িকে নিয়ে বট তলায় পরবর্তী যে ঘটনাক্রম, তা তোমার নিজের ভাষায় লেখো?

চায়ের দোকানে বুড়ির আগমন

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথা শিল্পী সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ ছোট গল্পে দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ, দলাদলি যেন নতুন করে সামনে আসতে দেখা যায়। গল্পে দেখা যায়, সাধারণ গ্রাম্য মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের অণু সঙ্গে একটু উত্তাপের খোঁজে আসে চায়ের দোকানে। তাদের কথায় চাপানউতরে যখন চা দোকান সরগম, তখন লেখক সুকৌশলের সেখানে হাজির করেন এক থুথুরে বুড়িকে। এখান থেকেই শুরু হয় গল্পের মূল দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সকলে বুড়িকে দেখে মজা পায়, তার অবয়ব, আচার-আচরণ থেকে আড্ডাবাজ মানুষজন মজার খোরাক পেলেও এ যেন নিছক মজা নয়, ঘনয়ামন দ্বন্দেরই পটভূমি।

চা পানের পর বুড়ির কার্যক্রম

চা পান শেষ করে, চায়ের দাম মিটিয়ে, বুড়ি নড়বড়ে গতিতে যে স্থানে উপস্থিত হয়, সেটি হল বড় রাস্তার বাঁকে মুখে বটতলা। একেবারে ফাঁকা, কাদা জলে মাখামাখি বটতলায় গিয়ে বুড়ি সবার আশ্চর্য দৃষ্টির সামনে বটগাছের শিকড়ের পিছন ধিক্কার খোঁদলটায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়ল।

আড্ডার বিষয়ের পরিবর্তন

চা দোকানের তুমুল আড্ডার বিষয় গেল বদলে। কেউ বলে বুড়ি বটতলায় না গিয়ে বারোয়ারিতলায় গেলেই পারতো। কেউ বলে বুড়ি নির্ঘাত মরবে। সোজা কথায় ব্যাপারটা এই দাঁড়ালো যে, বুড়িকে নিয়ে কথার পর কথা এসে চা দোকানের বিনোদন ভারী হয়ে উঠল।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment