সংজ্ঞা
নন্দন তত্ত্ব ও ভাষাবিজ্ঞানের এক অসামান্য মেলবন্ধন শৈলী বিজ্ঞান। ভাষাবিজ্ঞানী বুঁফো বলেছিলেন “মানুষ নিজেই তার শৈলী”। ভাষাবিজ্ঞানী জইরআন্ড বলেছেন, একটি বায়ন(text) এর প্রকাশিত রূপ হল তার শৈলী। কোন ভাষার, কোন লেখকের লেখার শৈলী নির্ণয় করা হয় ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় তাকে শৈলীবিজ্ঞান বলে। ভাষার বৈচিত্রের নানা সম্পর্ক, নির্বাচনের নেপথ্য কাহিনী, সংলাপ ব্যবহার শ্বাসঘাত, দৈর্ঘ্য, রেজিস্টার ইত্যাদি নানা বিষয় শৈলী বিশ্লেষণের অঙ্গ।
প্রকরণের ভাগ
শৈলী বিচার করতে যেসব প্রকরণ ব্যবহৃত হয় সেগুলি হল- (১) প্রমুখন (২) বিচ্যুতি (৩) সমান্তরালতা (৪) কোডবদল বা বহু ধবনিময়তা।
প্রাকৃতিক আলোচনা
প্রমোখন ও বিচ্যুতি বা বিসারণ প্রক্রিয়া দুটি পরস্পর সম্পূরক। র জয়িতা আদর্শ ভাষার বিচুক্তি ঘটিয়ে নিজের বক্তব্য সুপষ্ট প্রকাশ করেন। তাই বি চুক্তি বাক্যের অধি গঠন ও অধোগঠন উভয় স্তরকে মান্য করে শব্দগত, অন্বয়গত, শব্দার্থ গত, ব্যাকরণগত বিচুর তীর মাধ্যমে সাহিত্য সৃজন করে। বিচ্যুতি শৈলী কে স্বতন্ত্র দেয়। সমান্তরালতা শৈলীকে বিশিষ্ট করে। একটি ভাষা অপর বা অপরাপর ভাষার ব্যবহার, বাক্য, বাক্য খন্ড উপভাষা প্রয়োগ, কোন বদলের কাজ করে। উপন্যাস, মহাকাব্যদি সুদীর্ঘ রচনা দীর্ঘ পটে নানা অখ্যানের বহু চরিত্র, বিচিত্র স্বভাব, রীতিনীতি ইত্যাদি সমাবেশ ঘটে। এই ভিন্ন ভিন্ন শহর গুলি একত্রিত হওয়ায় ‘বহুস্বরতা’ আখ্যা দিয়েছেন মিখাইল বাখতিন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর