বিস্তৃত পরিসরের ভাষার শৈলী নির্ধারণ করাই শৈলী বিজ্ঞানের প্রধান কাজ। কখনো ও তা অবস্থানুযায়ী, কখনো ও ভাষার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তৈরি হয়। শৈলীর মূলে থাকে রচনাকারের নির্বাচন তা আমরা জানি। মৌখিক সাহিত্য বা লিখিত সাহিত্য সর্বক্ষেত্রেই ভাষা তার প্রধান মাধ্যম। নিজেকে প্রকাশ এবং অন্যের সঙ্গে সংযোগ সাধনে ভাষার প্রধান কাজ। সাহিত্যের উদ্দেশ্য ও তাই। তাই সাহিত্যশৈলী আসলে ভাষারই শৈলী। শৈলী বিজ্ঞান প্রয়োগ নির্ভর নিরীক্ষণ করে। লেখক এর রচনায় প্রয়োগ নীতি ও তার কৌশলী তার একমাত্র বিবেচ্য। শৈলী বিজ্ঞানের লিখন শৈলীর বিচার নৈর্ব্যক্তিক বিচার।
Text বা পাঠ্যবস্তুর গোড়ার কথা ভাষারীতি, তাই ভাষাবিদ জিরান্ড বলেন, “একটি বায়ন এর পোশাকি রূপ হল তার শৈলী”। আর স্যআমউয়এল ওয়েসলি বলেন শৈলী হল “চিন্তার পোশাক” । শৈলী বিজ্ঞান সাহিত্যের সমরূপ এবং ভাষার বৈচিত্রের সংযোগ তৈরি করে। ভাষার মধ্যে কি আছে দেখে ও অনুপুঙ্খ ব্যাকরণ তৈরি করে।
শৈলীর প্রথাগত ভাগ দুটি – (১) মূল্যায়ন ভিত্তিক (২) বর্ণনামূলক।
মূল্যায়ন ভিত্তিক শৈলী হল কোন লেখার শৈলীর বৈশিষ্ট্য সমূহ কে প্রকাশ। এ পদ্ধতিতে রবীন্দ্রনাথ শেক্সপিয়ার, বঙ্কিম শরৎ মানিক কিংবা জীবনানন্দ ইয়েটস-এর লেখালেখির শৈলীগত পার্থক্য নির্ণয় করা যাবে। বর্ণনামূলক শৈলী কোন লেখকের ব্যক্তিগত শৈলী তুলল মূল্য বিচার। এ পদ্ধতিতে বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’র সঙ্গে ‘চাঁদের পাহাড়’-এর শরীরের তুলনা করা যাবে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর
শৈলী বিজ্ঞান এর কাজ কি ? শৈলীবিজ্ঞান প্রথাগত ভাব সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে লেখ?