প্রেষণা হল একটি আভ্যন্তরীণ মানসিক শক্তি । শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই মানসিক শক্তি অর্থাৎ প্রেষণা জাগ্রত করতে পারলেই ধারাবাহিকভাবে শিখনের প্রতি তাদের অনুরাগী ও মনোযোগী করে তোলা সম্ভব হবে। তাই শিখনের ক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা অপরিসীম। এবং শিখনের প্রেষণা বিভিন্ন ভূমিকা নিচে আলোচনা করলাম।
শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ উদ্যম জাগ্রত
প্রেষণা শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ উদ্যমকে জাগ্রত করে তোলে। এর ফলে শিক্ষার্থী যে কোন কর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। উপযুক্ত উদ্বোধক করে শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ আচরণ সৃষ্টি করা যায়।
আগ্রহ সৃষ্টি
প্রেষণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সঞ্চার করে। শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিষয়ের প্রতি প্রেষণা, তার অনুরাগের দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। আগ্রহ অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্ধারিত হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৃপ্তি ও সফলতা আসে।
লক্ষাভিমুখী
প্রেষণা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার নির্দিষ্ট লক্ষাধীমুখী করে তোলে। , এর ফলে শিক্ষার্থী একটি লক্ষ্য পূরণ হলে পরবর্তী লক্ষ পূরণের জন্য আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে ওঠে।
মনোযোগী
প্রেষণা শিক্ষার্থীকে শিখনে মনোযোগী করে তোলে। মনোযোগ শিক্ষার্থীর বিষয়ে জ্ঞানকে নিখুঁত ও পরিষ্কার করে তোলে।
ব্যক্তিত্বের উন্মেষ
প্রেষণা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের উন্মেষ ঘটায়; যা শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতিষ্ঠিত করে।
শিখন কৌশলের ওপর প্রভাব
প্রেষণা শিক্ষার্থীর শিখন কৌশল কে বিশেষভাবে প্রবাহিত করে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রেষণার বিভিন্নতা অনুযায়ী শিখতে পারে।
শিক্ষার্থীর আচরণের গতিপথ নির্ণয়
প্রেষণা শিক্ষার্থীর আচরণের গতিপথ নির্ণয় করে তোলে কোনো বিশেষ লক্ষ্য অনুযায়ী আচরণ করতে সাহায্য করে।
যথাযথভাবে কর্মসম্পাদন
পেছনে শিক্ষার্থীকে যথেষ্ট ভাবে কর্মসম্পন্ন করতে সাহায্য করে। , অর্থাৎ শিখন চলাকালীন শিক্ষার্থীর যে সকল কাজ থাকে তা তাদের সঠিকভাবে করতে প্রেষণা সাহায্য করে।
নতুন বিষয়ের প্রতি কৌতূহ সৃষ্টি
শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বিষয়কে জানার কৌতূহল সৃষ্টি করে প্রেষণা। এর ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক ঘটে।
দক্ষতা সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাস
প্রেষণা দক্ষতা সম্বন্ধে শিক্ষার্থীকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। আত্মবিশ্বাস কর্মে আরো বেশি উদ্যম সৃষ্টি করে।
অভ্যাস গঠন
প্রেষণা শিক্ষার্থীর মধ্যে অভ্যাস গঠন করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর মধ্যে পঠনের অভ্যাস তৈরি করে যা তার বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সৃজন ধর্মী ক্ষমতার বিকাশ
পেয়েছ না একটি আভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া, , যা শিক্ষার্থীর সৃজন ধর্মী ক্ষমতার বিকাশ ঘটে সাহায্য করে।
জীবনাদর্শ গঠন
প্রেষণা শিক্ষার্থীর মধ্যে জীবনাদর্শ গঠনের সাহায্য করে। অর্থাৎ প্রেষণা শিখনকে জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে তার ভবিষ্যৎ জীবনাদর্শ গঠন করে।
যেকোনো শিক্ষা ব্যবস্থার সফল নির্ভর করে প্রেষণা উপর। প্রেষণা হল এমন একটি আভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া , যা শিক্ষার্থীকে তার শিখর মূলক কাজগুলি যথাযথভাবে করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় তার সঠিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টি করতে শিক্ষকের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তেমনি পিতা মাতারও ভূমিকা কম নয়।