পরিনমন হল এমন একটি জন্মগত প্রবণতা যা স্বাভাবিকভাবে পরিপুষ্ট হওয়ার ফলে শিশুর আচরণের পরিমাণগত ও গুণগত পরিবর্তন ঘটে।
পরিনমন হল শিখন প্রস্তুতির সহায়ক উপাদান। পরিণমন শিশুর শিখন এ বিশেষ ভূমিকা পালন করে, শিখনের পরিণমনের ভূমিকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিচে আলোচনা করিলাম।
শিখনের গতি ও সীমা নির্ধারণ
মাতৃ গর্ভে ভ্রুণ সঞ্চার থেকে শিশুর পরিণমন ঘটতে থাকে। নির্দিষ্ট পরিণমনের পর শিশুর শিখন শুরু হয় এবং তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলতে থাকে। পরিণমণি ঠিক করতে পারে কোন সময়ে কোন ধরনের শিখন সার্থক হবে।
জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়ের সমন্বয়
শিক্ষার্থীর সার্থক বিকাশ নির্ভর করে জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়ের সম্বন্ধের ওপর। পরিণমন স্বার্থ ভাবে উভয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। যা শিক্ষার্থীকে যে কোনো বিষয়ে শিখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
ভাষার বিকাশ বাচনিক বিকাশ
শিশুর ভাষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিণমন। ছাড়া শিশুর ভাষার বিকাশ সম্ভব নয়।
পরিকল্পনামাফিক শিক্ষাদান
পরিণমনের ওপর নির্ভর করে শিক্ষা পরিকল্পনা। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিশুর শিক্ষার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয় এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান করা হয়।
শিখন প্রচেষ্টার কার্যকারিতা
পরিণমন শিখন প্রচেষ্টাকে কার্যকরী করে তুলতে অনেকটাই সাহায্য করে, অর্থাৎ এখানে শিখন প্রচেষ্টার কার্যকারিতা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উন্নত ও জটিল আচরণ সম্পাদন
উন্নত ও জটিল আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি সক্রিয় করে তোলা। ফলে শিক্ষার্থী যেকোনো জটিল সমস্যার সমাধান সহজে করতে পারবে।
অবশেষে বলা যায় যে – শিক্ষার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান রয়েছে। শিশু কেবলমাত্র পরিনমনের দ্বারা সব ধরনের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। তার জন্য শিখনের একান্ত প্রয়োজন। আবার পরিণমনের বিভিন্ন স্তর অনুযায়ী শিক্ষাদানের ব্যবস্থা না করলে শিশুর শিখন এর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে না।