শিখনের শ্রেণীবিভাগ করা খুবই কঠিন। তবে বিভিন্ন দিকে উপর গুরুত্ব দিয়ে শিখন কে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যা নিজে আমরা পয়েন্ট আকারে আলোচনা করলাম
১ উদ্দেশ্যমূলক
যখন কোন ব্যক্তি দক্ষতা বা বিষয় জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে শিক্ষা লাভ করে তখন তাকে উদ্দেশ্য শিখন বলে
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যখন কোন শিক্ষার্থী বা ব্যাক্তি গণিতিক জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে বা বাস চালানোর উদ্দেশ্যে শিক্ষা লাভের আগ্রহী হয়।
উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষার ধরন সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়
এক হল প্রাথমিক শিখন – অর্থাৎ যে সকল উদ্দেশ্যমূলক শিখনের জন্য ঘটনা, নীতি, তত্ত্ব ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত সেই ধরনের শিখন কে প্রাথমিক শিখন বলে।
এবং দ্বিতীয় টি হল সহযোগী শিখন – এই শিখার মাধ্যমে আমরা একে অপরদিকে সাহায্য করে বা নতুন নতুন প্রযুক্তি শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে পড়ি।
২ অচেতন বা সহগামী শিখন
যখন কোন ব্যাক্তি কোনো বিষয় অনিচ্ছাকৃতভাবে বা সহকারীদের সঙ্গে সিখে থাকে সেই ধরনের শিখন কে অচেতন বা সহকারী শিখন বলে। এই ধরনের শিখন উদ্দেশ্যমূলক শিখনের মত সমান গুরুত্বপূর্ণ।
৩ বিকাশমূলক শিখন
শিশুর বিকাশের সঙ্গে সংহতি দেখে যে শিখন সংগঠিত হয় থাকে, তাকে এক কথায় বিকাশমূলক শিখন বলে। তবে এই বিকাশমূলক শিখন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন-
প্রতিষ্ঠানিক শিখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় তাকে প্রতিষ্ঠানমূলক শিখন বলে।
প্রক্ষমূলক শিখন শিশুর মধ্যে আদর্শ গঠনের জন্য যে শিখন কার্য পরিচালিত হয় তাকে প্রক্ষমূলক শিখন বলে।
বৌদ্ধিক শিখন শিশুর বৌদ্ধিক বা মানসিক সংগঠনের তথা ধারণার সংগঠনের উন্নতির জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় তাকে বৌদ্ধিক শিখন বলে।
নৈতিক শিখন – শিশুর চারিত্রিক, নৈতিক এবং মূল্যবোধের বিকাশের জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় তাকে নৈতিক শিখন বলে।
সংবেদনমূলক শিখন বাইরের পরিবেশ থেকে জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণে যে শিখন প্রক্রিয়া সংগঠিত হয় তাকে সংবেদনমূলক শিখন বলে।
দেহ সঞ্চালনগত শিখন যে শিখন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনও ক্রমিক উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করে তাকে সঞ্চালনগত শিখন বলে।
সামাজিক শিখন শিশুর মধ্যে সামাজিক বোধের বিকাশের জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় তাকে সামাজিক শিখন বলে।
৪ সাধারণ ধারণা শিখন
শিশুর জ্ঞান, দক্ষতা, আগ্রহ, মনোভাব গঠন ইত্যাদি উন্নয়নের জন্য যখন শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়, তখন তাকে সাধারণ ধারণার শিখন বলে।
৫ ক্রমচ্চিল শিখন
১৯৯০ সালে রবার্ট. এল. গ্রানে এর প্রকাশিত দা কন্ডিশনস অফ লার্নিং এ বিভিন্ন ধরনের শিখন এর কথা বলেছিলেন। তিনি মানব শিশুর শিখন এর জটিল প্রকৃতির সমস্ত উপাদানগুলিকে বিশ্লেষণ করে, আট প্রকার শিখন কে একটি পর্যায়ে বিন্যাস করেছিলেন।
গ্রানে তার আলোচনায় দেখেছিলেন যে কিভাবে বিভিন্ন প্রকারের শিখন এর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমন্বিত তত্ত্বের দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
তিনি শিখন এর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা গুলি কে বিশ্লেষণ করে একটি রূপ দিতে এসেছিলেন। যা সব ধরনের শিখন এর স্থায়ী ব্যাখা হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।