শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রেষণা সংখ্যা

এই পৃথিবীতে মানুষের চাওয়া পাওয়ার অন্ত নেই। একটি চাহিদা পূরণ হলেই ঠিক পরের মুহূর্তে নতুন একটি চাহিদার সৃষ্টি হয়।

এই চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ নানা ধরনের আচরণ করে। চাহিদা বা অভ্যাসবোধ সৃষ্টি হয় দুটি উৎস থেকে। একটি হলো অভ্যন্তরীণ উৎস এবং অপরটি হল বাহিক্য উৎস।

অভ্যন্তরীণ উৎস বলতে ব্যক্তির দৈহিক আচরণকে বোঝায়। যেমন তৃষ্ণা নিবারণের আচরণ, খাদ্য গ্রহণের আচরণ ইত্যাদি শারীরিক প্রয়োজন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত হয়ে থাকে।

আর অপরদিকে বাহিক্য উৎস বলতে – ব্যক্তির সামাজিক আচরণকে বোঝায়, যেমন – সামাজিক স্বীকৃতি, পদমর্যাদা, নিরাপত্তা পরিচালিত হয়ে থাকে।

প্রেষণার অর্থ

এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Motivation (মোটিফিকেশন) শব্দটি লাতিন শব্দ Moveers থেকে এসেছে। Moveers কথার অর্থ হল Move অর্থাৎ চলন প্রক্রিয়া। অর্থাৎ মনের অভ্যন্তর থেকে যে শক্তি আমাদের চালনা করে তাই হল প্রেষণা।

প্রেষণার সংজ্ঞা

বিশিষ্ট মনোবৈজ্ঞানিক প্রেষণার যে সকল সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল-

বিখ্যাত মনোবিদ স্কিনারের মতে প্রেষণা হল এক ধরনের শিখন যা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও কাম্য আসন গুলি জাগ্রত করে, অনেক সময় ধরে রাখতে এবং সেই গুলিকে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

অপরদিকে মনোবিদ গুড এর মতে – প্রেষণা হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা কর্মে উদ্দীপনায় জাগিয়ে তোলে দীর্ঘস্থায়ী ও নিয়ন্ত্রণ করে।

মনোবিদ উডওয়ার্ড এর মতে – প্রেষণা হল ব্যক্তির এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন লক্ষ্য পূরণ ও আচরণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।

মনোবিদ সুইফ্ট এর মতে – প্রেষণা হল ব্যক্তির এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন লক্ষ্য পূরণ ও আচরণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।

মনোবিদ ম্যাসলো মতে – প্রেষণা হল সদা পরিবর্তনশীল ও জটিল বিষয় যা জৈবিক অবস্থার একটি সর্বজনীয় বৈশিষ্ট্য।

অতএব পেছনে হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যা ব্যক্তির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কর্ম উদ্দীপনা জাগ্রত করে এবং বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সেটিকে নিয়ন্ত্রণ পথে পরিচালনার মাধ্যমে লক্ষ্যের অভিমুখে নিয়ে যায়।

দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষাবিজ্ঞানের (education) সব প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment