“যাবার আগে মজলিশি গল্পের আস্তাকুঁড়ে নির্বাসন দিয়ে গেলাম তোমাকে!”- ‘মজলিশি গল্পের আস্তাকুঁড়’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

উৎস

প্রখ্যাত নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরচিত ‘নানা রঙের দিন’ শীর্ষক পাঠ্য নাটকটি থেকে নেওয়া প্রশ্নের উদ্ধৃত অংশটির বক্তা নাটকটির প্রধান চরিত্রে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।

মন্তব্যটির কারণ

এক খোদা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নাট্যজগতের প্রখ্যাত অভিনেতা রুপে সকল সপ্রশংসা সাধুবাদ লাভ করেছিলেন। তখন তার বয়স কম, যৌবনের দীপ্ত তেজ একের পর এক মঞ্চ সফল নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি। এরপর প্রেমে ব্যর্থতায় যন্ত্রণায় রজনীকান্ত কাজের মধ্যেই চিত্ত নিমজ্জিত করার বাসনায়, বাচ বিচার না করেই যে কোন চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন। এর ফলে বিগ্ধ মহল তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেও তার অভিনীত নাটকগুলি সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বিপদগামী করে তুলেছে এমন অভিযোগ উড়তে লাগলো। এইভাবেই ক্রমশ বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রজনীকান্তের ‘গলার কাজ নষ্ট হয়ে গেল, একটা নতুন চরিত্র কে বোঝবার, ফুটিয়ে তুলবার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেল,….।’

এক সময় উন্নত মানে নাটকগুলি দুরূহ চরিত্রের বদলে কেবল ফরমায়েশ গল্পের চরিত্রাভিনয়ে সেমাই তো হয়ে গেল তার অভিনয় জীবন। স্বাভাবিকভাবেই সুধী ও সমালোচকবৃন্দের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে অপরাজিত হয়ে রজনীকান্ত সাধারণ মানুষের আড্ডা মুখরোচক খবরের পরিণত হলেন তার শিল্পসাতার আলোচনার পরিবর্তে তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি যে আলোচনার মুখ্য উপজীব্য ছিল, কালীনাথের সঙ্গে কথোপকথন কালে এই ঘটনাকেই ‘মজলিশি গল্পের আস্তাকুঁড় নির্বাসন’ বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন রজনীকান্ত।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment