কবির ব্যক্তি উপলব্ধি
জীবন মৃত্যুর স্বরূপ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা পূর্ণতা পেয়েছে ‘শেষ লেখা’ কাব্যগ্রন্থের ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায়। সুদীর্ঘ জীবন প্রবাহের প্রান্তসীমানায় এসে কবির সেই ব্যক্তি উপলব্ধি শ্বাশ্বত রূপ পেয়েছে অনাড়ম্বর এই কাব্য কথার মধ্যে দিয়ে।
কবির দিব্যজ্ঞানলাভ
কবি দিব্য জ্ঞান লাভ করেছেন; দেখেছেন বিভীষিকাময় মৃত্যুর ছায়া ও তার ভয়ানক কাল্পনিক রূপ, কিন্তু সেই ভয়ংকর রূপ ও কবির কাছে আজ গুরুত্বহীন। জীবনের ব্যাথাদির্ণ পর্যায়গুলি কবি অতিক্রম করে এসেছে; দেখেছেন রঊঢ় জীবনের বারবার হৃদয় আঘাতে আহত করেছেন কবিকে, করেছেন প্রবঞ্জনা। সেমাই তো জীবন পরিসরের মধ্যে রূপেও রসে তরঙ্গীত জীবনের কিনারায় দাঁড়িয়ে কবি। মৃত্যু আসলে ছলনাময়ী। ভয়াল রূপে মৃত্যু বৃথা আশ্বাসের ডালি নিয়ে কোভিদ জন্য অপেক্ষা করে আছে। আত্ম মগ্ন কবি তাই ডুব দিয়ে কঠোর তপস্যয় এবং ফিরে পেয়েছেন আত্মপরিচয়, পেয়েছে নিজের অধিকার-
“রক্তে অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ, চিনিলাম আপনারে”
কবির জীবনের প্রতি অনুরাগ
জীবনের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন কবি, অধিকার প্রার্থীর এই স্বীকারোক্তির মধ্যে দিয়ে। কঠোরতায় পূর্ণ সেই কঠিন জীবনকেই অবশেষে কবি আলিঙ্গন করেছেন। যেখানে সত্যের কাঠিন্য থাকলেও ভালোবাসার সংরাগও আছে, অনিবার্য ভাবে রয়েছে যন্ত্রণার অত্যন্ত প্রবাহ।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর