সংজ্ঞা
বিজ্ঞানের অন্য শাখা গুলির মতোই নিত্য প্রগতিশীল এবং নিত্য সক্রিয় একটি বিদ্যা (Discipline) ভাষাবিজ্ঞান। অর্থাৎ বিজ্ঞানের যে শাখায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি তথা বিজ্ঞান নির্ভর বিচার বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ভাষার আলোচনা ও চর্চা হয় তাকে ভাষাবিজ্ঞান বা ইংরেজিতে Linguistics বলে। তাই ভাষাবিজ্ঞান হল ‘science of language’ । ভাষাজিজ্ঞাসুর এই বিষয়ে মাধ্যমে ভাষা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক অর্থাৎ তার নির্মাণ, প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে এখানে আলোচনা করেন। এক কথায় ভাষা জনিত বিজ্ঞান নির্ভর চর্চায় ভাষাবিজ্ঞান।
স্বরূপ
প্রচলিত বিজ্ঞান গবেষণার মতো ভাষাবিজ্ঞানের চর্চায় প্রথমে ভাষা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্য ও জোগাড় করা হয় প্রাচীন পুঁথি, প্রত্নলইপই, রেখাচিত্র বা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পূর্বতন উচ্চারণ প্রক্রিয়া সংগ্রহের মাধ্যমে। সংগৃহীত তথ্যের বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনা ও বিশ্লেষণ করা হয় এরপর। এক্ষেত্রে ভাষাবিজ্ঞানীরা আসিলগ্রাফ (Oscillograph), স্প্রএকট্রওগ্রআফ (Spectrograph) ইত্যাদি আধুনিক ব্যবস্থাপনার সহায়তা নেন। পর্যবেক্ষণ শেষ হয়ে তথ্যের বিন্যাস ও বিশ্লেষণ করে একাধিক ক্ষেত্রে তার ‘কারণ-ফল-প্রতিক্রিয়া’ (cause-effect-reaction) দেখে প্রকৃত সিদ্ধান্তে উপনীত হন ভাষাবিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ তখন ভাষা নিয়ে এক পূর্ণ বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা পরিণতি লাভ করে। বাংলা সহ পৃথিবীর সমস্ত ভাষার চর্চার ক্ষেত্রে ভাষাবিজ্ঞানের এই কাঠামো অনুসৃত হয়।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর