মানুষ সামাজিক জীব। গোষ্ঠী তথা সমাজের সঙ্গে অন্বেষণ এর সূত্রই জন্ম নিল মানুষের ভাষা। ফলত সমাজের নানা বৈশিষ্ট্য ও তার কাঠামো ভাষার উদ্ভব ও বিকাশকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করল। এই বিষয়টি আলোচিত হলো সমাজ ভাষাবিজ্ঞান শাখায়।
সংজ্ঞা
ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় সমাজের বৈচিত্র্যময় গঠন, মানুষের বহুবিধ শ্রেণী, ব্যবহৃত ভাষা ও অবস্থান ইত্যাদি বিষয়গুলি ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়, তাকে সমাজ ভাষাবিজ্ঞান বলে।
ক্ষেত্র
সমাজবিজ্ঞান আর ভাষাবিজ্ঞানের যৌথ ক্ষেত্রের নানান সূত্র ও ধারণা প্রয়োগে দেখা যায় যে ভাষার পরিবর্তন, পরিমার্জন ও গঠনের ক্ষেত্রে সমাজ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। মানুষের সমাজ নির্ভরতা, তার সামাজিক শ্রেণী অবস্থান, প্রাপ্ত শিক্ষা, তার ব্যুৎপতি, বয়স, লিঙ্গ ভেদ, সমাজের ভৌগোলিক অবস্থান, ভূমিরূপে চরিত্র ইত্যাদি ভাষা নির্মাণ বিরাট ভূমিকা পালন করে এটা প্রমাণিত। অর্থাৎ ভাষা থেকে আগত উপভাষা, শ্রেণী উপভাষা, সমাজ উপভাষা ইত্যাদি দিক লক্ষ্য রাখলে মানুষের সামাজিক চরিত্র অবস্থান নির্ণয় সহজতর হয়। আবার এই সকল বৈচিত্র্যময় সামাজিক সম্পর্ক এই যে ভাষার বৈচিত্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে তাও নির্দিষ্ট হয়। তাই সমাজবিজ্ঞান আর ভাষা বিজ্ঞানের পারস্পরিক নির্ভরতায় গড়ে ওঠার সমাজ ভাষা বিজ্ঞান ভাষা চর্চার আধুনিক দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর