ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা আলোচনা পদ্ধতি, দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যবহার ও বিবর্তন অনুসারে তিনটি প্রধান মূল দ্বারা জন্ম নিয়েছে। সেগুলি হল-
(১) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (Descriptive Linguistics)
(২) ঐতিহাসিক বা কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞান (Historical Linguistics)
(৩) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (Comparative Linguistics)
বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের জনক ফেদিনাঁ দ্য সোস্যুর। বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বিশেষ ভাষায় বিভিন্ন স্তরে উপাত্ত (data) সংগ্রহ করে বিভিন্ন রকম ভাষা বস্তুর (Comparative Linguistics)ওর বর্ণনা করে। ২০ শতকের গোড়ার দিকে প্রধানত ইউরোপে, পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত। যে ভাষায় অতীত নিদর্শন নেই বাজে ভাষা এখনো লিপিবদ্ধ হয়নি তার আলোচনায় বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।
ঐতিহাসিক বা কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞান
ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ ভাষার বিবর্তন বর্ণনা। বিশেষ কালে বিশেষ ভাষার বিশেষ অবস্থার বর্ণনা বদলে বিভিন্ন কালে ভাষার যে পরিবর্তন, তাকেই বর্ণনা করে ঐতিহাসিক বা কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞান। কোন ভাষার বিভিন্ন কালের কাল কেন্দ্রিক বর্ণনার মধ্যে তুলনা করে শুধু বের করা যায় তার পরিবর্তনের ভাষা বা সূত্র। আর সে পরিবর্তন ঘটে শৃঙ্খলা মেনি। ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানী শৃঙ্খলা কে উদঘাটন করে। ভাষা কালগত পরিবর্তন গুলি উপাত্তরূপে ব্যবহৃত হয় ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানী।
তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে তাদের সম্পর্ক ও সম্পর্ক নির্ণয় করা তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ভাষাকে বিন্যাস্ত করে বিভিন্ন ভাষা বংশে (Language family)। সন্ধান করে তারা কোন পিতৃ ভাষা থেকে জন্ম নিয়েছে। স্যার উইলিয়াম জোনস ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেন। তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান সমগোত্রীয় ভাষাগুলোর তুলনা করে তাদের উৎস ভাষা বা পিতৃ ভাষাকে পুননির্মাণ করে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর